
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহে যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এসেছে, তা দেশের অর্থনীতিকে দৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড. এম নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের শ্রমবাজার স্থিতিশীল হলেও খাতভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে এর সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে। গাজীপুরে একটি মডেল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে, যা প্রাথমিকভাবে সিঙ্গাপুরকেন্দ্রিক হলেও ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশেও সম্প্রসারিত হবে।
তিনি জার্মানির উদাহরণ টেনে বলেন, একটি দেশের উন্নতির জন্য জনশক্তির পরিকল্পিত ব্যবহার ও দক্ষতা উন্নয়ন অপরিহার্য। জার্মানি শিশুদের মেধা অনুযায়ী পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ১৮ বছর বয়সেই কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। বিপরীতে বাংলাদেশে অধিকাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করলেও চাকরি পান না, যা শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামোগত দুর্বলতা নির্দেশ করে।
ড. নজরুল ইসলাম প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যারা বিদেশে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন, তারা যদি দেশকে কিছু না দেন, তাহলে উন্নয়ন কে করবে?” তিনি প্রবাসীদের দেশে ফিরে অবদান রাখার আহ্বান জানান এবং বলেন, “এখন সময় এসেছে দেশকে কিছু দেওয়ার।”
এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয়, বাংলাদেশের শ্রমশক্তি ব্যবস্থাপনায় কাঠামোগত পরিবর্তন, কারিগরি শিক্ষার প্রসার এবং প্রবাসীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তথ্যসূত্র: দৈনিক বণিক বার্তা