
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি আগামী ৩০ আগস্ট ঢাকায় আসছেন এবং ৩১ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। এটি হবে এই সরকারের আমলে ইউরোপের কোনো শীর্ষ নেতার প্রথম ঢাকা সফর এবং ১৯৯৮ সালের পর ইতালির প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফর।
বৈঠকে অভিবাসন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা; এই পাঁচটি খাত বিশেষ গুরুত্ব পাবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও ইতালি ‘মাইগ্রেশন অ্যান্ড মোবিলিটি’ শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে, যার লক্ষ্য অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি করা। ইতালি ‘সিজনাল’ ও ‘নন–সিজনাল’ কর্মী নিয়োগে আগ্রহী এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে চায়।
বর্তমানে বাংলাদেশ-ইতালি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার, যেখানে তৈরি পোশাক ও চামড়াজাত পণ্য প্রধান রপ্তানি পণ্য। দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সফর ঘিরে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আলোচ্যসূচি চূড়ান্ত করা হয়। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি ইতোমধ্যে ঢাকায় এসে সফরের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং জানিয়েছেন, রোম বাংলাদেশে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরায় জোরদার করতে চায়।
এই সফর শুধু কূটনৈতিক নয়, বরং অর্থনৈতিক ও মানবসম্পদ উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনা তৈরি করছে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো