Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

আম নিয়ে কূটনীতি, আম নিয়ে সম্প্রীতি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৪০

আম নিয়ে কূটনীতি, আম নিয়ে সম্প্রীতি

দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক পরিসরে আবারো ফিরে এসেছে ‘আম কূটনীতি’; এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত ধরে। সম্প্রতি ১ হাজার কেজি হাঁড়িভাঙা আম পাঠানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঠিকানায়; সাত নম্বর লোককল্যাণ মার্গ, দিল্লি। এই উপহারকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ‘তিক্ত সম্পর্কের মাঝে মিষ্টতার বার্তা’ হিসেবে দেখছে।

নরেন্দ্র মোদির আম ভালোবাসা নতুন কিছু নয়। একসময় বলিউড তারকা অক্ষয় কুমারের সাক্ষাৎকারে মোদি জানান, ছোটবেলায় বাজার থেকে আম কেনার সামর্থ্য না থাকলেও গ্রামে কৃষকের বাগান থেকে পাকা আম পেড়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল তার। এই তথ্য ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি বছর গ্রীষ্মে আম পাঠাতেন দিল্লিতে- মোদি, রাষ্ট্রপতি এবং পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীদের জন্য।

শেখ হাসিনা আম পাঠিয়েছিলেন ইমরান খানকেও, যা তখন চমক সৃষ্টি করেছিল। এবার অন্তর্বর্তী সরকারও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে, যা অনেক পর্যবেক্ষকের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছেও আম পাঠানো হয়েছে, যা সীমান্তসৌহার্দ্য বজায় রাখার ইঙ্গিত।

বিশ্লেষক প্রিয়জিত দেব সরকার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা, মিয়ানমারের সংকট; সব মিলিয়ে বাংলাদেশ চাপে আছে। তাই ড. ইউনূস ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে আম কূটনীতির পথ নিয়েছেন।" তিনি আরো বলেন, “এই হাঁড়িভাঙা আম কি সত্যিই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে মিষ্টতা আনবে, নাকি অম্লমধুর রেশ রেখে যাবে; সেটাই এখন দেখার বিষয়।”

দক্ষিণ এশিয়ায় আম কূটনীতির ঐতিহ্য

- পাকিস্তান ও ভারত বহু বছর ধরে বিশ্বনেতাদের আম উপহার দিয়ে আসছে।

- নেহরু, জিয়া, জারদারি, রাজীব গান্ধীর মতো নেতারাও আমকে ব্যবহার করেছেন সফট ডিপ্লোম্যাসির প্রতীক হিসেবে।

এই আম কূটনীতি শুধু একটি ফলের উপহার নয়, এটি সাংস্কৃতিক সৌহার্দ্য, কৌশলগত বার্তা ও সম্পর্ক পুনর্গঠনের এক সূক্ষ্ম কূটনৈতিক ভাষা।

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

Logo