Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ১২তম বর্ষে পদার্পণ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৯

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ১২তম বর্ষে পদার্পণ

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আজ তাদের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই একটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর রুটে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ২৪টি এয়ারক্রাফট পরিচালনা করছে এবং দেশ-বিদেশে ২০টিরও বেশি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

৯০% টাইম একিউরেসি রেট

এক দশকের বেশি সময় ধরে ইউএস-বাংলা যাত্রীসেবায় গড়ে তুলেছে আস্থা ও নির্ভরতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত তারা ৯০ শতাংশের বেশি সময়নিষ্ঠ ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড ধরে রেখেছে, যা বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিশেষভাবে প্রশংসনীয়।

২০২৬এ লন্ডন ও ২০২৮এ নিউইর্য়ক-টরন্টো ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সংযোগকে সুসংহত করতে ইউএস-বাংলা বর্তমানে চেন্নাই, মালে, মাসকাট, দোহা, দুবাই, জেদ্দা, রিয়াদ, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও গুয়াংজুসহ গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে লন্ডন, রোম এবং ২০২৮ সালের মধ্যে নিউইয়র্ক ও টরন্টোতে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।ইউএস-বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন এক বিবৃতিতে জানান, “প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা যে কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তুত। যাত্রীদের আরামদায়ক সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন ও অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট। এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে।”

বর্তমানে দেশে ও বিদেশে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে প্রায় ৩ হাজার জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন, যা দেশের কর্মসংস্থান ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত ট্যাক্স ও সারচার্জ পরিশোধ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

দেশের উড়োজাহাজ চীন ও মালদ্বীপে...

স্বাধীনতার পর এই সংস্থাই প্রথমবারের মতো চীনের গুয়াংজু, ভারতের চেন্নাই এবং মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। শুধু যাত্রী পরিবহনে নয়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কার্গো পরিবহনেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন শিক্ষাবিষয়ক, সামাজিক ও ক্রীড়া কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে জাতীয় উন্নয়নের সাথেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছে।

বিবৃতিতে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ সকল ট্রাভেল এজেন্সি, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া এবং সংস্থার কর্মকর্তা–কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তাদের সহায়তা ও সমর্থনেই সংস্থাটি এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সফলতার দ্বারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ইউএস-বাংলা পরিবার।

ইউএস-বাংলার ওয়েবসাইট, অ্যাপস ও ৪০টির অধিক সেলস অফিসের মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই টিকেট সংগ্রহ করতে পারছেন। রয়েছে কয়েক হাজার ট্রাভেল এজেন্সি ও ‘স্কাইস্টার’ লয়ালটি প্রোগ্রাম, যা নিয়মিত যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা নিশ্চিত করে।

এই ১২ বছরজুড়ে সাফল্যের গল্পে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের বেসরকারি এভিয়েশন খাতে একটি শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। 


Logo