হজ শেষে ৪,৯৭৮ হাজিকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে ৮.২৮ কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৬

২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনাকে দেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ১৩ জুলাই সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করা ৪ হাজার ৯৭৮ জন হাজিকে মোট ৮ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এই অর্থ প্রত্যেক হাজির ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
উপদেষ্টা বলেন, হাজিদের জন্য নির্ধারিত বাড়ি ভাড়া ও সার্ভিস চার্জে আসল ব্যয়ের তুলনায় কম খরচ হওয়ায় প্যাকেজের কিছু অর্থ উদ্বৃত্ত থাকায় এই রিফান্ড দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রত্যেক হাজির রিফান্ডের পরিমাণ নির্ভর করবে তার ব্যবহৃত হজ প্যাকেজ ও মক্কায় অবস্থানের বাড়ির নম্বর অনুযায়ী। ফেরতের সর্বনিম্ন অঙ্ক ৫ হাজার ৩১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫৩ হাজার ৬২৪ টাকা পর্যন্ত।
উদাহরণস্বরূপ, সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৪ ও ৬ নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারী পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা ৫,৩১৫ টাকা করে ফেরত পাবেন। শর্ট প্যাকেজে ৪ নম্বর বাড়ির হাজিরা পাবেন ২৩,০২৭ টাকা করে। প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে ২ নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারী শর্ট প্যাকেজের হাজিরা সর্বোচ্চ ৫৩,৬২৪ টাকা পর্যন্ত ফেরত পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা সব হাজিকে প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে রিফান্ড, অনুদান বা যে কোনো আর্থিক সহায়তা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। কেউ যদি ফোন করে বা কার্ড নম্বর, বিকাশ, নগদ, রকেটের পিন নম্বর চায়, তাহলে বুঝতে হবে তারা প্রতারক।
২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে হজযাত্রী নিবন্ধন, আইবিএনের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ, নুসুক প্ল্যাটফর্মে তাঁবু বরাদ্দ, বাড়ি ভাড়া ও পরিবহন চুক্তি, ভিসা প্রক্রিয়াসহ যাবতীয় কাজ সময়মতো সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে কোনো হজ ফ্লাইট বিপর্যয় হয়নি, কোনো হট্টগোল বা অব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হয়নি এবং শতভাগ নিবন্ধিত হজযাত্রী হজ পালন করতে পেরেছেন।
উপদেষ্টা জানান, এ বছর হজ মৌসুমে ৮৯২ জন হজযাত্রী হারিয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেলেও ৮৯১ জনকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৫ জন হজযাত্রী, যাদের পূর্ব থেকেই বিভিন্ন জটিল রোগব্যাধির ইতিহাস ছিল।
ধর্ম মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিমান, সিভিল এভিয়েশন, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সাউদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স, হাবের সভাপতি ও মহাসচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তরিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান ড. খালিদ।
তথ্যসূত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড