Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় ভারতের সংসদ সদস্যরা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ০৯:২৪

বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় ভারতের সংসদ সদস্যরা

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্যরা ঢাকার সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

২৮ জুন দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, শীর্ষস্থানীয় চার বিশেষজ্ঞ ও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্যদের মধ্যে একটি ‘বিশেষ মতবিনিময় সভা’ হয়েছে। ওই সভায় এমপিরা ঢাকার সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এর আগে হিন্দুর আরেক খবরে বলা হয়, ২৭ জুন বিকেলে ওই সভায় সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত এমপি শশী থারুর। সেখানে ঢাকা-দিল্লির বর্তমান সম্পর্ক এবং ভারত কীভাবে তার অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত চার বিশেষজ্ঞ হলেন, সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শংকর মেনন, বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন ও জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অমিতাভ মাত্তু।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির বরাতে হিন্দুর খবরে বলা হয়, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বিষয়গুলো নিয়ে এমপিরা নিজেদের গভীর উপলব্ধি প্রকাশ করেছেন। তাদের সবার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মেরামত করে সামনে এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ দেখা গেছে।”

হিন্দু বলছে, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে সভা চলে। সেখানে সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক কীভাবে মেরামত করা যেতে পারে, সে বিষয়ে পরামর্শ শুনতে চান।

আরেক ব্যক্তির বরাতে খবরে বলা হয়, “সেখানে এমন একটা বোঝাপড়া ছিল যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি অভিন্ন সংস্কৃতি রয়েছে; ফলে পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশকে বৈরী প্রতিবেশী হিসেবে দেখা উচিত নয়।”

এমপিরা এমন মতও দেন যে, ভারত সরকারের উচিত পশ্চিমবঙ্গকে সম্পৃক্ত করে এক ধরনের সাংস্কৃতিক কূটনীতি চালু করা, যেন দুই দেশের মধ্যকার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় কিছুটা প্রশমিত হয়।

২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটতে থাকে। কূটনীতিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পাশাপাশি পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা আসে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও। সবশেষ ২৭ জুন স্থলপথে বাংলাদেশের পাটপণ্য ও বোনা কাপড় আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এর আগে ১৭ মে তারা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের আমদানির ক্ষেত্রেও একইরকম নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে।

তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর 

Logo