
ঢাকার শাহজালাল ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশাপাশি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বিদেশফেরতরা ব্র্যাকের জরুরি সহায়তা পাবেন। অবশ্য ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশফেরতদের নানা ধরনের সহযোগিতার কাজটা গত এক বছর ধরে করছিল। ২৪ জুন এই কাজটি আনুষ্ঠানিকতা পেল। ২৪ জুন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কনফারেন্স হলে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে একটি সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বিমানবন্দরের সব দপ্তর এই কাজে যুক্ত থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমেদ। তিনি বললেন, 'সেবা মানে মানবিকতা। প্রবাসীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে সবাইকে। ঢাকার পাশাপাশি যেহেতু সিলেটেও অনেক ফ্লাইট আসে, তাই অনেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েই ফেরত আসেন। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এখানে বিদেশফেরতদের নানা জরুরি সহায়তা দিচ্ছে। বিমানবন্দরে কর্মরত সবাই এই তথ্য জানলে আরো বেশি মানুষ এই সেবা পাবেন। সমন্বিতভাবে কাজ করলে আরো বেশি মানুষকে সহায়তা করা যাবে বলে আমরা মনে করি।'
সভায় ব্র্যাক জানিয়েছে, গত আট বছরে ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিমানবন্দরে জরুরি সহায়তা দিয়েছে। সংস্থাটির মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরীফুল হাসান বলেন, “আমাদের অভিজ্ঞতায় মনে করি বিদেশফেরতদের সহায়তায় বিমানবন্দরে একটি কাঠামো বা এসওপি থাকা উচিত। যেখানে কার কী কাজ উল্লেখ থাকবে। আর শুধু জরুরি সহায়তা নয়, বিদেশফেরতদের কাউন্সেলিং ও অর্থ সহায়তাও করছি আমরা”।
সিলেট জেলা প্রশাসনের প্রবাসীকল্যাণ শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার পলি রাণী দেব, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা রিয়াজ আহমেদ, উপপরিচালক (ফায়ার) আবু মোহাম্মদ ওমর শরীফ, সিলেট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক নাজমুস সাকিব, সিলেট মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আসিফ আজিজ, সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ নাহিদ নিয়াজ ও খবরের কাগজের সিলেট ব্যুরোপ্রধান উজ্জ্বল মেহেদীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র: ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রধানের ফেসবুক ওয়াল থেকে