Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

আমিরাতে কাফালায় আটকে আছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জীবন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:১৯

আমিরাতে কাফালায় আটকে আছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জীবন

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) কর্মরত প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের জীবন এখনো জড়িয়ে আছে বিতর্কিত কাফালা (স্পন্সরশিপ) ব্যবস্থার সঙ্গে। এই কাফালা ব্যবস্থাই তাদের চাকরি পরিবর্তন, ন্যায্য মজুরি ও মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। কাতার ও সৌদি আরব কাফালা ব্যবস্থায় সংস্কার আনলেও ইউএই এখনো তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করেনি, ফলে বাংলাদেশি শ্রমিকরা পড়েছেন এক অনিশ্চয়তার ফাঁদে।

কাফালা কী? 

এই ব্যবস্থায় একজন শ্রমিকের ভিসা ও চাকরি নির্ভর করে তার নিয়োগকর্তার ওপর। নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া চাকরি পরিবর্তন করা যায় না, এমনকি যদি সেখানে হয় নির্যাতন, বেতন বঞ্চনা বা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ।

দুবাইয়ে কর্মরত রাজিউল হাসান রুবেল জানান, “২০২০ সালের শেষ দিকে কোম্পানি পরিবর্তনের সুযোগ চালু হয়েছিল, কিন্তু তা আবার বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ভালো কাজ জানলেও বাংলাদেশিরা কোম্পানি বদলাতে পারছে না, ফলে ভালো বেতন বা পরিবেশ পাচ্ছে না।”

বাংলাদেশ ইউএইতে শ্রমিক পাঠায় একটি সমঝোতা স্মারকের (MoU) ভিত্তিতে, যা বাধ্যতামূলক নয়। ফলে শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হলেও বাংলাদেশ সরকার কার্যকরভাবে চাপ প্রয়োগ করতে পারছে না।

অনেক শ্রমিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে চাকরি ছাড়তে চাইলেও অনুমতি না থাকায় তারা অবৈধ অভিবাসী হয়ে পড়েন। এতে তাদের গ্রেপ্তার, শোষণ বা দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি বাড়ে।

অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অব ট্রেড ইউনিয়নের মতে, ইউএইর শ্রমশক্তির ৯০ শতাংশের বেশি অভিবাসী, যাদের অনেকেই অতিরিক্ত রিক্রুটমেন্ট ফি ও ঋণের বোঝা নিয়ে আসেন। বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী বলেন, “শ্রমিক পাঠানো দেশগুলো যদি একত্রে কাফালা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিক পাঠানো বন্ধ রাখে, তাহলে গন্তব্য দেশগুলো বাধ্য হবে ব্যবস্থা নিতে।”

এই বাস্তবতায় কাফালা ব্যবস্থার সংস্কার শুধু মানবিক নয়, বরং অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে জরুরি। 

তথ্যসূত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

Logo