
বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাচ্ছে বাণিজ্য ও পর্যটন খাতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত “নেপাল-বাংলাদেশ ট্যুরিজম মিট” অনুষ্ঠানে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা এই সম্পর্ককে আরো গভীর ও কার্যকর করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, “হিমালয়ের উচ্চতা আর বঙ্গোপসাগরের গভীরতার মধ্যে সত্যিকারের সংযোগ গড়ে তুলতে আমাদের আরো ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন।” তিনি দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের মার্কেটিং অ্যান্ড প্রোমোশন পরিচালক রোহিনী প্রসাদ খানাল জানান, বাংলাদেশ এখন নেপালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটক উৎস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে আরো বেশি বাংলাদেশি পর্যটক নেপালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম উপভোগ করতে আগ্রহী হবেন।
এই ট্যুরিজম মিটে অংশ নেন বাংলাদেশের ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (এটিএবি), ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন (টিওএবি), বিভিন্ন হোটেল, এয়ারলাইন্স ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১২০ জনের বেশি প্রতিনিধি। আয়োজনে নেপালের ১৩টি শীর্ষস্থানীয় ট্যুর ও ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিরাও অংশ নেন, যা ভবিষ্যতের যৌথ উদ্যোগের ভিত্তি তৈরি করে।
পর্বতারোহী বাবর আলী, যিনি সম্প্রতি মাউন্ট অন্নপূর্ণা জয় করেছেন, অনুষ্ঠানে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং নেপালের ট্রেকিং রুটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান।
বাণিজ্যিক দিক থেকেও দুই দেশের মধ্যে সম্ভাবনা বাড়ছে। নেপাল বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশ নিতে আগ্রহী, যা উভয় দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্য যেমন ওষুধ, তৈরি পোশাক ও কৃষিপণ্য নেপালের বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে।
এই উদ্যোগগুলো শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং সাংস্কৃতিক ও মানবিক সম্পর্ককেও দৃঢ় করছে। হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর এই দুই প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্ব এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে প্রস্তুত।
মাইগ্রেশন কনসার্ন রিপোর্ট