
এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপভুক্ত (এএসপিএজি) দেশগুলোর নতুন সমন্বয়কারী দেশ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। ১০ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপভুক্ত (এএসপিএজি) দেশগুলোর শ্রমমন্ত্রীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় জাপানের কাছ থেকে এক বছরের জন্য এ দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন সব দেশের সমর্থন কামনা করে বলেন, ‘আমরা একটি ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমবাজার গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শুরুতে আইএলও এবং এএসপিএজি সমন্বয়কারী জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল বৈশ্বিক শ্রমবাজারের ৬০ শতাংশ এবং জিডিপির ৪০ শতাংশ অবদান রাখে।
অথচ এই অঞ্চল অনানুষ্ঠানিক খাত, সামাজিক সুরক্ষার ঘাটতি এবং জলবায়ু সংকটসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
সভায় এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপভুক্ত (এএসপিএজি) দেশগুলো টেকসই উন্নয়ন, শ্রমিক অধিকার, অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধন, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজীকরণ এবং শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি যুবদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমাদের অগ্রাধিকার।
এ সময় আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হংবো এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপভুক্ত ১৪টি দেশের প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বেপজার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এবং পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক গাজী জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠ