ড. তাসনিম সিদ্দিকীর বিশেষ সাক্ষাৎকার, শেষ পর্ব
সৌদির ইকামা নিয়ে অনেক কিছু গোপন করা হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১৫:৩৯

ড. তাসনিম সিদ্দিকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। তার মূল গবেষণা আন্তর্জাতিক অভিবাসন নিয়ে। ‘রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট- রামরুর তিনি অ্যাকটিং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। অন্তর্বর্তী সরকারের ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত অর্থনীতিবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির একজন সদস্য তিনি। অভিবাসন সমস্যা এবং মালয়েশিয়া ও সৌদির শ্রমবাজার নিয়ে মাইগ্রেশন কনসার্নের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন ড. সিদ্দিকী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাহবুব স্মারক। আজ থাকছে শেষ পর্ব।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: সৌদিতে প্রচুর লোক যাচ্ছে, কিন্তু তারা কাজ পাচ্ছে না। তিন মাসের ইকামায় গিয়ে কাজ না পেয়ে অবৈধ হয়ে পড়ছে অনেক কর্মী। তারা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। অপহরণের ঘটনা ঘটছে। কী কারণে এমনটা হচ্ছে বলে মনে হয় আপনার কাছে?
ড. তাসনিম সিদ্দিকী: সৌদি আরবে এখন যারা যাচ্ছে, ব্যবস্থাটা অনেকের কাছে পরিষ্কার না। ব্যবস্থাটা এ রকম, আপনি সৌদিতে যেতে হলে দেশে কিছু কাজ করে আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ হওয়ার কথা, সেটা করে আপনি ওইখানে যাবেন। ওইখানে গিয়ে আবার কিন্তু হেল্থ টেস্ট হবে এবং একটা ইকামা লাগাতে হবে। সেই ইকামাটা লাগাতে আমি শুনেছি ৮০০ রিয়ালের মতো খরচ করতে হয়। তাহলে মাইগ্রেশন খরচ কত গিয়ে দাঁড়ায়, চিন্তা করে দেখেন। যে মানুষটা এখান থেকে যাচ্ছে, সে তো এখান থেকে সব কাজ শেষ করে যাচ্ছে, তাহলে সৌদিতে গিয়ে আবার কেন? সেখানে গিয়ে শ্রমিকরা অবাক হয়ে যায়। আবার কেন এই প্রক্রিয়ার ভেতর গিয়ে টাকা দেব। অনেকে এই টাকাটা দিতে পার না বিধায় তারা কিন্তু অনিয়মিত স্ট্যাটাসে পড়ে গিয়ে যে অসাধু চক্রগুলো আছে, তাদের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে। যতদিন না পর্যন্ত সেই ইকামার টাকাটা তুলে নিতে পারে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: সৌদিতে লোক পাঠানোর সময় কি এসব তথ্য আমাদের কর্মীদের খোলাখুলি বলা হয়?
ড. তাসনিম সিদ্দিকী: আমাদের মনে হচ্ছে, এই ব্যবস্থাটা আমরা যারা সেখানে লোক পাঠাচ্ছি, তারা শ্রমিকদের খোলাখুলি বলতে হবে যে, আমরা এখান থেকে যে টাকা নিচ্ছি, সেটা কিন্তু আংশিক। ওখানে গিয়েও তোমাদের আবার ইকামাটা কিনতে হবে, আবার হেল্থ টেস্টটা দিতে হবে। তুমি যদি এই আট-দশ লাখ টাকা দিতে রাজি থাক, যোগ্য থাক তাহলে তুমি যাও সৌদিতে। এসব কথা কিন্তু আমরা আগে বলছি না। এক ধরনের ক্যামোফ্লেজ হচ্ছে মানুষের ওপর।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: ইকামার টাকা জোগাড় করার কারণটাই কি এসবের পেছনের মূল কারণ?
ড. তাসনিম সিদ্দিকী: এই যে বলছেন, তারা অবৈধ কাজে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে; এটার কারণ কিন্তু ওটাই। কারণ তারা ইকামাটা কিনতে পারছে না। ওই সব কাজে যুক্ত থেকে টাকাটা জোগাড় হলে তারপর ইকামাটা তারা কিনতে পারে। এর মধ্যে যদি ধরা পড়ে যায়, তাহলে কিন্তু তাকে ডিপোর্ট করে দেয়া হয়। কারণ অবৈধভাবে কাজ করলে ডিপোর্ট করবে। আর সৌদি আরবের লোকজন বলবে, আমি তো আপনাকে আগেই বলে দিয়েছিলাম যে এখানে এসে ইকামা কিনতে হবে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: বলা হচ্ছে, তিন মাসের ইকামা দেয়া হচ্ছে এবং সৌদিতে যাওয়া কর্মীদের কাজ খুঁজতে গিয়ে ইকামার সময় শেষ হচ্ছে বলে বলা হচ্ছে…
ড. তাসনিম সিদ্দিকী: কাজ খুঁজতে গিয়ে ইকামা শেষ হচ্ছে না, ইকামা শেষ হচ্ছে ওই টাকা দিতে না পারায়। তিন মাস ওখানে থেকে ওই সময়ের ভেতর টাকাটা দিতে, হেল্থ টেস্ট হবে, সমস্ত কিছু হবে তারপর তিন মাসের মধ্যে টাকাটা শোধ করতে হবে। ওই জন্যই এই সংকট। ইকামা তো শেষ হবেই। কারণ তাদের তিন মাসের ইকামা দিয়েই নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: কোনো কর্মী যদি মারা যায়, তাহলে তাদের লাশ ফেরত আনতে সৌদিতে বিরাট সংকট তৈরি হয়েছে। প্রবাসীদের চাঁদা তুলে লাশ সৌদি থেকে ফেরত আনতে হচ্ছে। লাশ পাঠাতে খরচ হচ্ছে ১৪-১৫ হাজার সৌদি রিয়াল। কী হতে পারে সমাধান? সরকার কি কিছু করতে পারে?
ড. তাসনিম সিদ্দিকী: অবশ্যই করতে পারে। ওয়েজ আর্নার্স বোর্ডের যে চাঁদাটা তারা দিয়ে যান, সাড়ে ৩ হাজার টাকা, তারপরে তারা ইন্স্যুরেন্সের টাকা দেন ১ হাজার টাকা। একটা বিশাল অঙ্কের টাকা প্রতি বছর জমা হচ্ছে এই ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে। সেটা দিয়ে কী হচ্ছে? প্রিডাপার্চার ট্রেনিং হচ্ছে, মৃতের সৎকার হচ্ছে এমন বিভিন্ন কিছু হচ্ছে। কিন্তু এই টাকার বেশির ভাগ অংশ ব্যবহার হচ্ছে, যারা এই ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের মেম্বার তাদের বেতন দিতে। এই টাকা ব্যবহার হচ্ছে এই যে সফরগুলো হচ্ছে, এই যে সাউথ আফ্রিকা যে বলি, এগুলো কিন্তু রেভেনিউ বাজেটের বরাদ্দ নিয়ে যাচ্ছেন না। এগুলো কিন্তু ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের টাকা থেকে। তাহলে এগুলো কি ডিরেক্ট অভিবাসীদের জন্য খরচের, নাকি এই টাকা খরচ করার কথা সরকারের? এই টাকাগুলো দিয়ে, আগের খবর বলছি, মাত্র ছয় লাখ টাকা করে বরাদ্দ ছিল, এখন হয়তো সেটা ১০-১২ লাখ হয়েছে। এই ১২ লাখ টাকা কী ওই দেশ থেকে আমরা জানি, প্রতি বছর যে সাড়ে চার হাজারের মতো লাশ আসছে, তার বেশির ভাগই যখন আসে সৌদি আরব থেকে, তখন কী এই ১২ বা ২০ লাখ টাকা রবাদ্দ যথেষ্ট? যথেষ্ট নয়। সেখানে ওয়েজ আর্নার্স বোর্ডের আরো টাকা বরাদ্দ করা প্রয়োজন। এই যে যুগ যুগ ধরে মানুষ নিজেরা নিজেদের মানবিকতার কারণে টাকা দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছেন, সেটা আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক। যাদের আমরা বলি রেমিট্যান্স যোদ্ধা, এই জন্য আমরা টাইটেলই দিয়েছি ভালোবাসা বঞ্চিত রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। আসলেই তারা ভালোবাসা বঞ্চিত।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: পুরো পৃথিবীতে বাংলাদেশিদের ভিসা পাওয়া সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, অনেক দেশ বাংলাদেশিদের ভিসা দিচ্ছে না। দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির, সেটা হয়তো একটা কারণ কিন্তু আর কী কী কারণ এর পেছনে থাকতে পারে বলে আপনার মনে হয়?
ড. তাসনিম সিদ্দিকী: একটা তো, বিপুল সংখ্যক মানুষ একটা দলের পক্ষে ছিলেন, তারা কিন্তু দেশ থেকে চলে যাচ্ছেন বা গেছেন। যাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা আছে অনেকে কিন্তু চলে যাচ্ছেন। হয়তো বা বিভিন্ন দেশের মাইগ্রেশন পলিসিতে সেটা রিফ্লেক্ট করছে। সেটা একটা দিক। এটা সাময়িক ব্যাপার। কিন্তু যদি আমরা বৃহত্তর পরিসরে চিন্তা করি, তাহলে দীর্ঘদিন ধরেই কিন্তু ওয়েস্টের ইমিগ্রেশন পলিসি যেটা রয়েছে, তাদের দেশে লোক নেবে, যে পরিমাণ লোকের প্রয়োজন, সেই পরিমাণ লোক তারা অ্যালাও করে না। আজকে ইতালিতে, ফ্রান্সে, ইউকেতে কেবল চেরি পিকিংয়ের সময় বা ভেজিটেবল গার্ডেনিংয়ের সময়, যে সিজনাল মাইগ্রেশন অ্যালাও করছেন, সেটা কী বাংলাদেশিদের জন্য পোশায়? তারা ওখান গিয়ে এক বছর থাকবেন, তারপর চলে আসবেন, এই ১০-১২ লাখ টাকা খরচ করবেন, এই টাকা কী উঠে আসবে? আসবে না। তাহলে দেখেন তাদের যে মাইগ্রেশন পলিসি তার ভেতরেই কিন্তু ভূত। মাইগ্রেশনের ধরনটাই হয়ে গেছে অনিয়মিত। কারণ ওই দেশের মালিকরা কিন্তু এই অনিয়মিত মাইগ্রেন্টসদের কাজ দিচ্ছে। কাজ দিচ্ছে বলেই কিন্তু অনিয়মিত মাইগ্রেন্টসদের যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: দেশের ভেতর মানুষের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতাও তো বাড়ছে।
ড. তাসনিম সিদ্দিকী: হ্যাঁ, দেশের মানুষের মনে ভেতরে কিন্তু বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা, সাধ, নতুন জীবন অভিজ্ঞতা করা এসব বাড়ছে। আর দেশের ভেতর এত বেশি পলিটিক্যাল টারময়েল, এত বেশি ঘুষ, এত সমস্যা। তাই মানুষের ইচ্ছা হয় বাইরে গিয়ে নীরবে, নিরবচ্ছিন্ন জীবন কাটাই। ফলে দেশের মানুষের বিদেশে যাওয়ার নেশাটাও থাকবে অন্যদিকে, পশ্চিমা বিশ্বের যে মাইগ্রেশন পলিসি থাকবে। এসবের কারণে তৈরি হয়েছিল কিন্তু শিক্ষার্থীদের বিদেশ যাওয়া। আসলে সবাই পড়তে যাচ্ছে, তারা কিন্তু কাজ করে কিছু দিন পর তাদের লক্ষ্য দেশটিতে স্থায়ী হওয়ার ব্যবস্থা করেছে। বৃটেনের কথা যদি বলি, তারা এখন দেশটিতে স্পাউজ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে তারা থাকতে পারবে না। পড়া শেষ করে ফিরে আসতে হবে। ফলে পড়ার মধ্য দিয়ে যে শিক্ষার্থীরা যেত, স্থায়ী হতো ভিন দেশে, স্টুডেন্ট মাইগ্রেশনের মধ্য দিয়ে যে লেবার. মাইগ্রেশন হতো সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অনিয়মিত মাইগ্রেশন বাড়বে। কারণ এটা আটকে রাখার কোনো পথ নাই। হ্যাঁ অনিয়মিত মাইগ্রেশন বাংলাদেশ থেকে হয়। এটা আরো অনেক দেশ থেকেও হয়। এই জায়গাটার বেশি দায়িত্ব হচ্ছে ডেভেলপ কান্ট্রিগুলোর, যারা এ রকম একটা নীতি নিয়েছে। বাজারের ডিম্যান্ড তারা উপেক্ষা করে, তার দেশে লোক নেয়াকে সংকুচিত করে রেখেছে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: কিন্তু আমরা তো দেখছি, ইউরোপে লোক যেতে মরিয়া। লিবিয়া হয়ে যারা ইউরোপ যেতে চাইছিল, তাদের দেশে ফেরত আনা হচ্ছে। যে কোনো মূল্যে এ প্রবণতা তো কমছে না।
ড. তাসনিম সিদ্দিকী: বৈধ পথে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কমে গেলে অবৈধ ও বিভিন্ন পথে অভিবাসন বাড়ে এবং সেটাই ঘটে চলছে বাংলাদেশ থেকে। বৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ বেড়ে যাক, তাহলে কেউ যাবে না অবৈধ পথে। আর এই অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়া কমানোর একটা বড় পথ হলো স্কিলস ডেভেলপমেন্ট।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: স্কিলস ডেভেলপমেন্টের দিকে আমরা এগোচ্ছি? দেশের মানুষ তো স্কিলস ডেভেলপমেন্টে তেমন আগ্রহী না।
ড. তাসনিম সিদ্দিকী: আমরা জানি, বৈধ পথে যেতে চাইলে যেমন নার্সিং, ইঞ্জিনিয়ারিং অনেক রকম ড্রাফটসম্যান এ রকম নানা কাজে কিন্তু চাহিদা আছে। এমনকি চুল কাটার লোকও তারা নেয়। কোন বছর তারা কোনটা নেবে সেটা ফিক্সড করা থাকে। কিন্তু আমরা তো স্কিলস ডেভেলপ করছি না। আমরা স্কিলস ডেভেলপ না করে দালালের কাছে গিয়ে টাকা দিয়ে বিদেশে চলে যেতে চাচ্ছি। আমরা যদি বিদেশেই যেতে চাই, তাহলে কেন আমরা আমাদের স্কিল ডেভেলপ করি না। কেন নার্সিং করব না। বিএসসি নার্সিং পড়ার সুযোগ রয়েছে। নার্সিং যদি পড়ি তাহলে আমার যাওয়া তো কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। আমরাও তো সেই জায়গাটা তৈরি করছি না। রাষ্ট্রের অসুবিধা আছে, তারা রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছে না।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: কারিগরি শিক্ষার স্কুলগুলো কি পর্যাপ্ত আছে বলে মনে হয়?
ড. তাসনিম সিদ্দিকী: এখন পর্যন্ত আমাদের যে এডুকেশন সিস্টেম, সেটা বৃটিশদের কেরানি তৈরির মানসিকতা, সেটা এখনো সেই জায়গাতেই আছে। ভোকেশনাল ট্রেইনিং অত্যন্ত কম। মাত্র ৩৩৬টি স্কুল আছে, যারা ভোকেশনাল এসএসসি বা এইচএসসি দিচ্ছে। অথচ লক্ষ লক্ষ স্কুল এখনো জেনারেল এডুকেশনে আছে। জেনারেল শিক্ষা নিচ্ছে তাদের কোনো চাকরি নাই। এমপ্লয়েবিলিটি আছে তাদের, যাদের স্কিল আছে। কিন্তু আমি সেসব মানুষ তৈরি করছি না। তো এই কন্ট্রাডিকশন সবই বদলাতে হবে। যখন এগুলো বদলাবে, তখন দেখবেন সবই বদলাবে। তখন দেখবেন অনিয়মিত অভিবাসন হবে, কিন্তু কম হবে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: সে ক্ষেত্রে ভাষাও জানতে হবে শিক্ষার্থীদের, যদি তারা বাইরে যেতে চায়।
ড. তাসনিম সিদ্দিকী: শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতরে আমরা বারবার বলছি, তিনটি ভাষা এখন শেখানো বাধ্যতামূলক করা দরকার। যেমন ইংরেজি, বাংলা এবং আরেকটা থার্ড লেঙ্গুয়েজ। সেই থার্ড লেঙ্গুয়েজ আরবি হতে পারে, চায়নিজ হতে পারে, কোরিয়ান হতে পারে, জাপানিজ হতে পারে। তো এইভাবে যদি আমরা না ভাবি, আমরা যদি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে না সাজাই, তাহলে আমরা কিন্তু এগোতে পারব না। এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের বড় একটা আশা ছিল, শিক্ষা ব্যবস্থায় এই রিফর্মগুলো হবে। কিন্তু যেটা দেখছি, এই সরকারকে যেসব ফেস করতে হবে, এই ইউনিভার্সিটি বন্ধ, সেই ইউনিভার্সিটি বন্ধ। ওখানে অসন্তোষ, ঘেরাও এই কাজগুলোর জন্য আমরা কিন্তু রিফর্ম পাচ্ছি না। আমরা জানি, একটা রাজনৈতিক সরকার এসে এসব করতে চাইবে না। রিফর্ম করার এই সময়টায় আমরা রিফর্ম না করে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। এতে আমরা কিন্তু অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছানো থেকে দূরে চলে যাচ্ছি।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আমাদের সময় দেওয়ার জন্য।
ড. তাসনিম সিদ্দিকী: আপনাকেও ধন্যবাদ।