Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট ইস্যুতে দ্বন্দ্বে জনশক্তি রপ্তানিকারকরা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১১:৫৫

মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট ইস্যুতে দ্বন্দ্বে জনশক্তি রপ্তানিকারকরা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে।

গত ১৯ মে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারের সিন্ডিকেট ইস্যুতে বায়রার এক পক্ষের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে।

বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে কর্মীদের বাড়তি অর্থও ব্যয় হচ্ছে। কম খরচে কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেট প্রক্রিয়া বন্ধের বিকল্প নেই বলেই মত তার।

ফখরুল জানান, টানা চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে চালু হয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। এরপর ১০০ এজেন্সি নিয়ে চক্র গঠন করে একটি গোষ্ঠী। কর্মীপ্রতি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার সর্বোচ্চ খরচ নির্ধারণ করে দিলেও গড়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়েছে কর্মীকে।

বারবার অনিয়মের অভিযোগ করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যাতে কেউ কথা বলতে না পারে সে জন্যই সংবাদ সম্মেলনে হামলা চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেন ফখরুল।

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া কেন এজেন্সি ঠিক করে দেবে- এমন প্রশ্নও তোলেন ফখরুল। যদিও সিন্ডিকেটের বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানান বায়রার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার।

তিনি বলছেন, দুই দেশের সরকারের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমেই জনশক্তি রপ্তানির বিষয়টি নির্ধারিত হয়। বাজার স্থিতিশীল রাখতে শ্রমবাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত বলেই মনে করেন তিনি।

বেশি সুবিধা পেতেই একটি পক্ষ সিন্ডিকেট ইস্যু সামনে আনছে। এর ফলে অতীতেও বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য বন্ধ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বাশার।

দেশের স্বার্থে শক্তিশালী শ্রমবাজার মালয়েশিয়াকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে সবাইকে একমত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অভিবাসনপ্রত্যাসী কর্মীরা। 

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

Logo