
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে একবারে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্ট ফি ধার্য করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১৭ মে ২০২৫ তারিখে এ সার্কুলার জারি করা হয়। সার্ভিস চার্জ বা কমিশন নামে কোনো অতিরিক্ত অর্থ যুক্ত করা যাবে না বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্যাংকের অথরাইজড ডিলার শাখায় পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্ট ফি নানা অনুপাতে দিচ্ছেন এবং অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ বা কমিশন দেওয়া হচ্ছে, যা বৈধ ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা কেনা থেকে গ্রাহকদের অনাগ্রহী করছে।
সার্কুলারের প্রধান দিক
ফি নির্ধারণ: সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ছাড়িয়ে কোনো টাকা আদায় করা যাবে না।
অতিরিক্ত চার্জ নিষেধ: “সার্ভিস চার্জ”, “কমিশন” বা অন্য কোনো নামে অতিরিক্ত আদায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আইনি ভিত্তি
এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৪৫ এর অধীনে এবং সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হবে।
লক্ষ্য ও প্রত্যাশিত প্রভাব
গ্রাহক সহায়ক: গ্রাহকরা এখন পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্টের জন্য নির্দিষ্ট এই ফি ছাড়া আর কোনো যন্ত্রণা ভোগ করবেন না।
বিক্রি বৃদ্ধিতে সহায়তা: অতিরিক্ত চার্জ না থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা কেনার প্রবণতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্বচ্ছতা: সকল ব্যাংক একই ফি ধার্য করবে, এতে গ্রাহকদের সাথে ব্যাংকের লেনদেন আরো স্বচ্ছ ও সমতাভিত্তিক হবে।
প্রয়োগ ও নজরদারি
বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরিং ইউনিট এই ফি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে।
অতিরিক্ত আদায়ের তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা
এই সিদ্ধান্ত গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা করবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন
তথ্যসূত্র: দ্য ডেইলি স্টার