Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত চরম সংকটে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ২৩:১৯

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত চরম সংকটে

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) তাদের বৈশ্বিক মানবিক সহায়তার ৮০ শতাংশের বেশি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত গভীর সংকটে পড়েছে। বিশেষ করে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ, শিশুদের টিকাদান এবং অপুষ্টি মোকাবিলায় পরিচালিত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো এখন অনিশ্চয়তার মুখে।

বাংলাদেশ বিশ্বের সাতটি যক্ষ্মাপ্রবণ দেশের মধ্যে অন্যতম। ২০১০ সালে যেখানে যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৮১ হাজার, তা ২০২৩ সালে কমে দাঁড়ায় ৪৪ হাজারে। এই অগ্রগতির পেছনে USAID-এর সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পগুলোর বড় ভূমিকা ছিল।

ঢাকার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বিশেষায়িত যক্ষ্মা হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আয়েশা আখতার বলেন, “আমরা একটি শক্তিশালী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছিলাম, যা USAID-এর সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছিল। তারপর এক সকালে তারা তাদের সহায়তা বন্ধ করে দিল।”

Tariful Islam Khan জানান, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (ICDDR,B) ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত USAID-এর সহায়তায় ৫২ মিলিয়ন মানুষকে স্ক্রিনিং করে ১,৪৮,০০০ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করেছে, যার মধ্যে ১৮,০০০ শিশু ছিল। তবে অর্থায়ন বন্ধ হওয়ায় এই কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

USAID-এর সহায়তায় ২.৩ মিলিয়ন শিশুকে ডিপথেরিয়া, হাম, পোলিও এবং ধনুষ্টংকারের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এই সহায়তা বন্ধ হওয়ায় টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “আমি বিশেষভাবে টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে উদ্বিগ্ন। যদি এতে বিঘ্ন ঘটে, তবে আমরা যে সাফল্য অর্জন করেছি, তা হুমকির মুখে পড়বে।”

বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা অপুষ্ট শিশুদের জন্য একটি বিশেষ খাদ্য ফর্মুলা উন্নয়ন করেছিলেন। তবে এই প্রকল্পও এখন বন্ধ হয়ে গেছে। নূরজাহান বেগম বলেন, “আমরা মাত্রই এই কর্মসূচি চালু করেছিলাম। অনেক এমন উদ্যোগ এখন বন্ধ হয়ে গেছে।”

একটি দেশে সংক্রামক রোগের হার বৃদ্ধি পেলে তা আঞ্চলিকভাবে প্রভাব ফেলে। USAID-এর সহায়তা বন্ধ হওয়ায় শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টাও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এই সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প অর্থায়নের উৎস খুঁজে বের করা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা পুনরায় চালু করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র: ডন 

Logo