Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

খালি যাচ্ছে হজ ফ্লাইট

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ১১:০২

খালি যাচ্ছে হজ ফ্লাইট

সংবাদের অডিও শুনতে ক্লিক করুন

ভিসা জটিলতা ছাড়াও হজযাত্রীদের সময়মতো অর্থ পরিশোধ ও এয়ারলাইন্সগুলোর তথ্য হালনাগাদ না করায় বেশ কিছু ফ্লাইটের টিকিট অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। একই কারণে ৪ থেকে ১০ মে পর্যন্ত কয়েকটি ফ্লাইটের ৬৪ ভাগ টিকিটও বিক্রি হয়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবিক্রীত রয়ে গেছে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট। ফলে হজযাত্রীর চাহিদা থাকলেও আসন ফাঁকা রেখেই যাচ্ছে অনেক হজ ফ্লাইট।

হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাব বলছে, প্রথম দিকের ফ্লাইটগুলোতে আসন ফাঁকা থাকলেও সমস্যা হবে না। যারা ভিসা পাননি তাদের জন্য পরবর্তী টিকিট ইস্যুর ক্ষেত্রে বাড়তি ফি নেওয়া হবে না। ভিসা জটিলতা ছাড়াও এয়ারলাইনসগুলো তথ্য হালনাগাদ ও সময়মতো টাকা পরিশোধ না করার কারণে অনেক হজ ফ্লাইটের সিট ফাঁকা থাকছে।

সংশ্লিষ্ট তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে ৩৭টি ফ্লাইট। যার মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৫টি ফ্লাইটে গেছেন ৬ হাজার ২০২ জন হজযাত্রী, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১২টি ফ্লাইটে গেছেন ৪ হাজার ৮৫৮ জন ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ১০টি ফ্লাইটে গেছেন ৪ হাজার ৯৪ জন হজযাত্রী। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত হজ ফ্লাইটগুলো চলবে। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন।

এয়ারলাইন্সের সূত্র মতে, হজযাত্রার পঞ্চম দিনে ৩ মে ফ্লাইট সংখ্যা ছিল ১০টি। এর মধ্যে সাতটি ফ্লাইটেই অবিক্রীত ছিল ৩ শতাংশ পর্যন্ত টিকিট। যার মধ্যে সবচেয়ে কম টিকিট বিক্রি হয়েছে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সে। হজ পোর্টালের তথ্য মতে, আজ থেকে আগামী ১০ মে পর্যন্ত কোনো কোনো ফ্লাইটের ৬৪ শতাংশ পর্যন্ত টিকিট অবিক্রীত ছিল।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার জানান, সিস্টেম জটিলতার কারণে কিছু ভিসা হচ্ছে না। এ কারণেই জটিলতা হচ্ছে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে,  ফ্লাইটগুলোর তথ্য এসএমএস সিস্টেমে এন্ট্রি দিতে হয়। দেখা যাচ্ছে, এয়ারলাইন্সগুলো সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। এ কারণে অনলাইনে দেখা যায় আসন ফাঁকা। তার ওপর হজযাত্রীদের জন্য এবার নুসুক মাশায়ের প্ল্যাটফর্ম নামে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে সৌদি। এ কারণে দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু ভিসা আটকে যাচ্ছে। এসব জটিলতা নিরসনে ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি ধর্মমন্ত্রীকে একটা ডিও লেটার দিয়েছেন। শিগগিরই এই জটিলতার নিরসন হবে।  

তথ্যসূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

Logo