Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

আফ্রিকায় কৃষি খাতে বিনিয়োগ: সম্ভাবনা, সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ১০:৫৪

আফ্রিকায় কৃষি খাতে বিনিয়োগ: সম্ভাবনা, সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশের কৃষি খাতে জমির সীমাবদ্ধতা ও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আফ্রিকার উর্বর অথচ অনাবাদি জমিতে চুক্তিভিত্তিক কৃষি (Contract Farming) উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করছেন।

আফ্রিকায় চুক্তিভিত্তিক কৃষির সূচনা

২০১০ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল আইভরি কোস্ট, সেনেগাল ও ঘানা সফর করে চুক্তিভিত্তিক কৃষির সম্ভাবনা যাচাই করে। এরপর ২০১৬ সালে জাম্বিয়ায় ‘ভাটি বাংলা এগ্রিটেক’ নামে একটি বাংলাদেশি কোম্পানি ১১ জন কৃষক নিয়োগের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে। নিটল-নিলয় গ্রুপও জমি লিজের অনুমতি পেলেও মূলধন স্থানান্তরের জটিলতার কারণে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি ।

বিনিয়োগের অগ্রগতি ও সম্ভাবনা

সম্প্রতি উগান্ডা ২০ হাজার হেক্টর জমি বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের চুক্তিভিত্তিক কৃষির জন্য বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়া কেনিয়া তুলা চাষের জন্য ১ হাজার একর জমি লিজ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মরিতানিয়াও দক্ষিণাঞ্চলের উর্বর জমি চুক্তিভিত্তিক কৃষির জন্য উন্মুক্ত করেছে, যেখানে গম, ভুট্টা, ধান ও তরমুজ চাষের সম্ভাবনা রয়েছে।

সাফল্যের দিক

- খাদ্য নিরাপত্তা: আফ্রিকার উর্বর জমিতে চাষাবাদের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।

- কর্মসংস্থান: ২০২৭ সালের মধ্যে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ৪০ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।

- বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন: উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।

চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা

- মূলধন স্থানান্তরের জটিলতা: বিদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূলধন স্থানান্তরের জটিলতা অনেক উদ্যোক্তাকে পিছিয়ে দিয়েছে।

- নীতিগত সহায়তার অভাব: সরকারি পর্যায়ে নীতিগত সহায়তা ও সমন্বয়ের অভাব প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে।

- প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের ঘাটতি: আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের অভাবে উৎপাদনশীলতা কমে যেতে পারে।

ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা

- নীতিগত সহায়তা বৃদ্ধি: সরকারি পর্যায়ে নীতিগত সহায়তা ও সমন্বয় বাড়াতে হবে।

- প্রযুক্তি হস্তান্তর: আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

- বিনিয়োগ সহজীকরণ: মূলধন স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।

আফ্রিকায় চুক্তিভিত্তিক কৃষি বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই উদ্যোগ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

মাইগ্রেশন কনসার্ন রিপোর্ট

Logo