নিউজিল্যান্ডে পড়তে যাওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর। দেশটির সরকার নতুন নিয়ম চালু করেছে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা এখন আগের চেয়ে বেশি সময় কাজ করতে পারবেন। এই নিয়ম ২০২৫ সালের নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ সংবাদ প্রকাশ করেছে। 

নিউজিল্যান্ডের শিক্ষা ও অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীরা এখন সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৫ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন, বিশেষ করে সেমিস্টার চলাকালীন সময়ে। আর ছুটির সময় তারা পূর্ণকালীন কাজ করতে পারবেন, যেমনটি আগে ছিল।

এই পরিবর্তনের ফলে শিক্ষার্থীরা অর্থনৈতিকভাবে আরো স্বচ্ছল হতে পারবেন, পাশাপাশি পড়াশোনার খরচ ও জীবনযাত্রার ব্যয় সামলাতে সুবিধা হবে। অনেক শিক্ষার্থী পার্ট-টাইম কাজের মাধ্যমে নিজেদের খরচ চালান, তাই এই নিয়ম তাদের জন্য বড় সহায়তা।

নিউজিল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দেশটির শ্রমবাজারে কর্মী সংকট মোকাবিলা এবং শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ বাড়াতে। বিশেষ করে হসপিটালিটি, খুচরা বিক্রয়, কৃষি ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে সরকার সতর্ক করেছে, কাজের সময়সীমা বাড়লেও শিক্ষার্থীদের মূল লক্ষ্য হবে পড়াশোনা। কাজের কারণে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটলে তা ভিসা বাতিলের কারণ হতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নতুন নিয়মের আওতায় কিছু নির্দিষ্ট কোর্স বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ছাড় দেওয়া হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা আরো বেশি সময় কাজ করতে পারবেন। এসব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান ও কোর্সের মান বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দক্ষিণ এশিয়ার দেশ থেকে এসেছেন। বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর শত শত শিক্ষার্থী নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য যান।

এই নিয়মের ফলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিউজিল্যান্ড আরো আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন অভিবাসন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, কাজের সুযোগ বাড়লে শিক্ষার্থীরা নিজের খরচ চালাতে সক্ষম হবেন এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা পাবেন।