অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের অংশগ্রহণে গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনীতি নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ অক্টোবর ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির পেনরিথ ক্যাম্পাসে সিডনি সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ও ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি যৌথভাবে এই আয়োজন করে। সভায় রাজনৈতিক নেতারা, গবেষক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও তরুণ প্রজন্মের প্রবাসীরা অংশ নেন।

ঢাকা পোস্টের প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং প্রবাসীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয় এ সভায়। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ড. ফাহাম আব্দুস সালাম, গবেষক-বিদ্যাবিজ্ঞানী ড. শামারুহ মির্জা এবং অর্থনীতিবিদ জ্যোতি রহমান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ড. খন্দকার আল ফরিদ উদ্দিন ও ড. ফয়সাল কবীর শুভ।

ড. ফাহাম বলেন, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা জরুরি। তিনি সতর্ক করেন যে ভোটের স্বচ্ছতা ও স্বাধীন নির্বাচনী পরিবেশ না হলে ইতিহাসে পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আদর্শগত সংলাপ এবং রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠা করে দেশের রাজনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, এটাই তার মূল বক্তব্য।

অর্থনীতিবিদ জ্যোতি রহমান বলেন, ১৯৯০-এর দশকে রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্নতা থাকলেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল; সেই ধারাকে ফিরিয়ে আনাই এখন প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও জনকল্যাণমুখী নীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব।

বক্তারা একযোগে বললেন, টেকসই গণতন্ত্র গঠনের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও তৃণমূল ক্ষমতায়ন জরুরি- এসব সামাজিক খাত পলিটিক্সের নৈতিক ভিত্তি হবে। সভায় মানবাধিকার কর্মী, ধর্মীয় নেতারা এবং স্থানীয় লেবার পার্টির কর্মীরা অংশ নিয়ে তাদের প্রত্যাশা জানান এবং প্রবাসীদের অবদানকে গুরুত্ব দেন।

আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীরা একটি সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে প্রবাসী diaspora-র সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও নৈতিকতা পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সংলাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সেন্ট মেরিস মসজিদের ইমাম, শিক্ষক শিবলী সোহায়েল, ক্রীড়া সংগঠক ফরহাদ মাহবুবসহ বিভিন্ন পেশাজীবী উপস্থিত ছিলেন।