অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় (WA) দক্ষ অভিবাসীর সংখ্যা ৩০% কমানোর পরিকল্পনা করেছে। তবে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার রজার কুক এই প্রস্তাবকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, দক্ষ অভিবাসীরা রাজ্যের অর্থনীতি ও নির্মাণ খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, বিশেষ করে বর্তমান গৃহসংকট মোকাবিলায়।

এবিসির নিউজে বলা হয়েছে, ফেডারেল সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে রাজ্য মনোনীত অভিবাসন কর্মসূচির আওতায় অভিবাসীর সংখ্যা ৫ হাজার থেকে কমিয়ে ৩ হাজার ৪০০-তে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। রজার কুক প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছেন, যেন এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়।

তিনি বলেন, “আমাদের রাজ্যের চাহিদা আলাদা। পার্থের দক্ষিণে AUKUS নৌঘাঁটি নির্মাণসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের আরো দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন।” তিনি আরো বলেন, “আমরা স্কুল, হাসপাতাল, ঘর; সবকিছুই বাড়াতে চাই। আর এ জন্য আমাদের আরো দক্ষ শ্রমিক দরকার।”

কুক জানান, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে নতুন বাড়ি নির্মাণের হার বেড়েছে, যা নির্মাণ খাতে কর্মী সংকট তৈরি করেছে। এই সংকট মোকাবিলায় অভিবাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ আমি গ্রহণ করব, কিন্তু সংকোচনের চ্যালেঞ্জ নয়।”

ফেডারেল সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয়ভাবে দক্ষ অভিবাসীর সংখ্যা ২৬ হাজার ২৬০ থেকে কমিয়ে ২০২৫-২৬ সালে ২০ হাজার ৩৫০ করার পরিকল্পনা করছে। তবে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া যদি ছাড় পায়, তাহলে অন্য রাজ্যগুলোকে সেই ঘাটতি পূরণ করতে হতে পারে, যা রাজনৈতিকভাবে অজনপ্রিয় হতে পারে।

এদিকে অভিবাসন নীতির ওপর রাজনৈতিক চাপও বাড়ছে। লিবারেল পার্টির কিছু সদস্য অভিবাসন সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর অ্যান্ড্রু হ্যাস্টি অভিবাসন ইস্যুতে দলীয় অবস্থানের বিরোধিতা করে ফ্রন্ট বেঞ্চ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

রজার কুক জানিয়েছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কবে হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে তিনি ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি ও ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ অভিবাসন কর্মসূচিকে অপরিহার্য বলে মনে করেন।