প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপবাসীর জন্য মানবিক ভিসার দাবি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫১
জলবায়ু সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জের হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার মুখে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে অনেক দ্বীপবাসী তাদের ঘরবাড়ি হারাচ্ছেন, অথচ আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ‘শরণার্থী’ হিসেবে স্বীকৃতি নেই। এই প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার কর্মীরা ও পরিবেশবিদরা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ উন্নত দেশগুলোর কাছে ‘মানবিক ভিসা’ চালুর দাবি তুলেছেন।
তাদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে যাওয়া মানুষদের জন্য একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক অভিবাসন পথ থাকা জরুরি। বর্তমানে এসব মানুষকে সাধারণ অভিবাসন নীতির আওতায় বিচার করা হয়, যেখানে জলবায়ুজনিত বিপর্যয়কে ‘জরুরি কারণ’ হিসেবে গণ্য করা হয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবিক ভিসা চালু হলে
- বিপন্ন দ্বীপবাসী আইনি ও নিরাপদভাবে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে পারবেন
- তাদের জীবন, সংস্কৃতি ও মর্যাদা রক্ষা পাবে
- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জলবায়ু ন্যায়ের পথে এগোবে
তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তঃদেশীয় সমন্বয় প্রয়োজন। নিউজিল্যান্ডের কিছু আইনজীবী ও এনজিও ইতোমধ্যে মানবিক ভিসার খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছেন, যা সরকারকে বিবেচনার জন্য দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন নীতিতে জলবায়ু বাস্তুচ্যুতদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে মানবিক ভিসা ব্যবস্থার আওতায় যুদ্ধ, নিপীড়ন বা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেওয়া হয়। পরিবেশবিদরা চান, জলবায়ু দুর্যোগকেও সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
প্যাসিফিক অঞ্চলের অনেক দ্বীপ যেমন- কিরিবাস, টুভালু, মার্শাল আইল্যান্ডস আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। এই বাস্তবতায় মানবিক ভিসা শুধু অভিবাসনের পথ নয়, বরং একটি নৈতিক দায়িত্ব।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
logo-1-1740906910.png)