অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়া হাজারো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর জন্য স্থায়ী বসবাসের স্বপ্ন এখন অনিশ্চিত। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘স্টাডি টু স্টে’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বেশির ভাগ বিদেশি শিক্ষার্থী সরাসরি স্থায়ী রেসিডেন্সির (PR) সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন কাঠামোতে শিক্ষার্থীদের জন্য পিআর পাওয়ার পথ দীর্ঘ ও জটিল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি শেষ করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে চাকরি, অভিজ্ঞতা ও নির্দিষ্ট স্কিল ক্যাটাগরির শর্ত পূরণ করতে হয়। ফলে অনেকেই পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ১৬% সরাসরি পিআরের যোগ্যতা অর্জন করেন। বাকিদের জন্য এই পথ দীর্ঘমেয়াদি, যার মধ্যে রয়েছে টেম্পোরারি গ্র্যাজুয়েট ভিসা, চাকরি খোঁজা, স্পন্সরশিপ এবং পয়েন্টভিত্তিক আবেদন।

বাংলাদেশ, ভারত, নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা শিক্ষার্থীরা সাধারণত ব্যবসা, আইটি, স্বাস্থ্য বা ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে পড়াশোনা করেন। কিন্তু এসব খাতে চাকরি পাওয়া ও স্পন্সরশিপ পাওয়া সহজ নয়। ফলে তারা পিআরের জন্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েন।

শিক্ষা ও অভিবাসন বিশ্লেষকরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন নীতিতে স্বচ্ছতা ও বাস্তবতা দরকার। শিক্ষার্থীরা যদি জানেন যে পিআর পাওয়ার সুযোগ সীমিত, তাহলে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী।

অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি ও গবেষণা খাতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু স্থায়ী হওয়ার সুযোগ না থাকলে দেশটি মেধাবী তরুণদের হারাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসন নীতিতে ভারসাম্য আনতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনা নয়, ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগও পান।

তথ্যসূত্র: এসবিএস