অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা না হলে বাড়বে উগ্রতা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০১

অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন নিয়ে স্বচ্ছ ও যুক্তিসঙ্গত আলোচনা না হলে চরমপন্থি রাজনীতির উত্থান ঘটতে পারে- এমন সতর্কতা দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। ইন্ডিপেনডেন্ট অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, অভিবাসন নীতির বাস্তব সমস্যা ও জনগণের উদ্বেগকে যদি উপেক্ষা করে কেবল বর্ণবাদ বা বিদ্বেষ বলে খারিজ করা হয়, তাহলে উগ্র ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলো সেই শূন্যস্থান দখল করে নেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং যুক্তরাজ্যে নাইজেল ফারাজের উত্থান দেখিয়েছে, কীভাবে মূলধারার রাজনীতি জনগণের উদ্বেগকে অগ্রাহ্য করলে উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। অস্ট্রেলিয়ায়ও অনেক নাগরিক অভিবাসন নিয়ে উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে আবাসন সংকট, অবকাঠামোর চাপ এবং মজুরি স্থবিরতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে। অথচ এসব বাস্তব সমস্যাকে উপেক্ষা করে অভিবাসীদের দোষারোপ করা চরমপন্থিদের হাত শক্ত করে।
ডেনমার্কের উদাহরণ তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে সরকার জনগণের উদ্বেগকে গুরুত্ব দিয়ে অভিবাসন নীতিতে ভারসাম্য এনেছে, ফলে উগ্র ডানপন্থার প্রভাব কমেছে। অস্ট্রেলিয়ায়ও এমন একটি “তৃতীয় পথ” প্রয়োজন, যেখানে অভিবাসন নিয়ে যুক্তিসঙ্গত, তথ্যভিত্তিক এবং মানবিক আলোচনা সম্ভব।
প্রতিবেদনটি আরো বলছে, অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা আগামী দশকে ৩০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। অথচ রাজনৈতিক নেতৃত্ব এখনো জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার, আবাসন সংকট এবং পরিবেশগত সীমাবদ্ধতা নিয়ে কার্যকর পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ। কর্পোরেট স্বার্থে পরিচালিত অভিবাসন নীতি জনস্বার্থের বদলে মুনাফাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
অতএব, চরমপন্থা ঠেকাতে দরকার একটি স্বচ্ছ, মানবিক এবং বাস্তবভিত্তিক অভিবাসন বিতর্ক, যেখানে অভিবাসীদের দোষারোপ নয়, বরং সমাধান খোঁজার চেষ্টা থাকবে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট অস্ট্রেলিয়া