Logo
×

Follow Us

অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ায় উবার চালাচ্ছেন দক্ষ অভিবাসীরা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:০৮

অস্ট্রেলিয়ায় উবার চালাচ্ছেন দক্ষ অভিবাসীরা

অস্ট্রেলিয়া দক্ষ অভিবাসীদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে না পারায় দেশটি বড় ধরনের উৎপাদনশীলতা সংকটে পড়েছে।  সেটেলমেন্ট সার্ভিস ইন্টারন্যাশনালের সিইও ভায়োলেট রুমেলিওটিস সম্প্রতি “Activate Australia’s Skills” ক্যাম্পেইনের আওতায় চারটি বাস্তবসম্মত প্রস্তাব তুলে ধরেছেন, যা অভিবাসীদের দক্ষতা স্বীকৃতির পথ সহজ করতে পারে।

প্রথম প্রস্তাব: জাতীয় পর্যায়ে দক্ষতা স্বীকৃতির জন্য একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক গভর্ন্যান্স কাঠামো গঠন, যার নেতৃত্বে থাকবে একটি স্বাধীন ওম্বাডসম্যান।

দ্বিতীয় প্রস্তাব: অভিবাসন ও কর্মসংস্থান স্বীকৃতি ব্যবস্থার মধ্যে সংযোগ স্থাপন। অনেক অভিবাসী যারা নির্দিষ্ট পেশায় কাজের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, তারা অস্ট্রেলিয়ায় এসে সেই পেশায় কাজ করতে পারেন না। কারণ স্বীকৃতি ও লাইসেন্সিং ব্যবস্থার মধ্যে অসঙ্গতি।

তৃতীয় প্রস্তাব: ব্যয় ও তথ্যগত প্রতিবন্ধকতা দূর করা। বর্তমানে ৭৭টি মূল্যায়নকারী সংস্থা ও ৬৫০টি পেশার জন্য জটিল প্রক্রিয়া রয়েছে, যেখানে আবেদনকারীদের হাজার হাজার ডলার খরচ করতে হয়। রুমেলিওটিস সহজতর তথ্য ও আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

চতুর্থ প্রস্তাব: স্থানীয় কর্মসংস্থান কেন্দ্র গঠন, যেখানে অভিবাসীদের জন্য ‘ক্যারিয়ার ন্যাভিগেটর’ থাকবে। এই কেন্দ্রগুলো উচ্চ অভিবাসী জনসংখ্যার এলাকায় স্থাপন করে তাদের নিজস্ব পেশায় ফিরিয়ে আনার সহায়তা দেওয়া হবে।

উৎপাদনশীলতার সম্ভাবনা:

বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৬.২ লাখ স্থায়ী অভিবাসী তাদের পূর্ণ যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করতে পারছেন না। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ এসেছেন ‘স্কিল্ড মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে। অথচ দেশটিতে প্রকৌশলী, শিশু পরিচর্যা কর্মী ও চিকিৎসকের ঘাটতি প্রকট। দক্ষ অভিবাসীদের যথাযথ কাজে ফিরিয়ে আনলে বছরে অতিরিক্ত ৯ বিলিয়ন ডলার GDP অর্জন সম্ভব।

মানের প্রশ্নে আশঙ্কা:

অনেকে মনে করেন, এই সংস্কার মানের ক্ষতি করবে। কিন্তু রুমেলিওটিস স্পষ্ট করেছেন, এটি মান কমানোর নয়, বরং অপ্রয়োজনীয় বাধা দূর করে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ তৈরির উদ্যোগ।

এই প্রস্তাব ইতোমধ্যে ১০০টির বেশি ব্যবসা, ইউনিয়ন ও নাগরিক সংগঠনের সমর্থন পেয়েছে। কানাডা, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে এমন সংস্কার করে সুফল পাচ্ছে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Logo