
অস্ট্রেলিয়া সরকারের শিক্ষা খাতে নতুন সংস্কারমূলক সিদ্ধান্ত- ছাত্রঋণের প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ মওকুফ, যা দেশটির অভ্যন্তরীণ শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক স্বস্তি দিলেও এর ইতিবাচক প্রভাব বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। যদিও সরাসরি ঋণ মওকুফ সুবিধা প্রবাসী শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করে না, তবে খরচের ভার হ্রাস এবং নীতিগত পরিসরে উদারতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা তাদের জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
সাম্প্রতিক আইনে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের জন্য গড় ছাত্রঋণের ২০ শতাংশ কেটে দেওয়া হয়েছে, যা শিক্ষার ব্যয় হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। এতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও এক ধরনের পজিটিভ সিগন্যাল তৈরি হয়েছে। সরকার উচ্চশিক্ষাকে আরো গ্রহণযোগ্য ও সহযোগিতাপূর্ণ করতে আগ্রহী। অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী যেহেতু তাদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার ব্যয় নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালনা করে, তাই এমন নীতিগত পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষাব্যবস্থায় তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় আশাবাদের ছাপ ফেলে।
অন্যদিকে, ন্যূনতম ঋণ পরিশোধের সীমা বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির হারে ঋণ মূল্যায়নের সংস্কার শিক্ষা খাতের ওপর সরকারি নজরদারির ইঙ্গিত দেয়। ফলে ভবিষ্যতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও আলাদা সাপোর্ট স্কিম; যেমন বৃত্তি, সাবসিডি বা শিক্ষার্থীবান্ধব সাশ্রয়ী আবাসনের নীতিমালা আসার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা খাত দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের একটি বড় কেন্দ্র। বর্তমানে প্রায় ৬ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী সেখানে অধ্যয়ন করছেন, যারা দেশটির মোট শিক্ষা খাতে ৪০ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক অবদান রাখে। এই বাস্তবতা সরকারকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক চাপ কমাতে আগ্রহী করে তুলতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী জেসন ক্লেয়ার নিজেই উল্লেখ করেছেন, তরুণদের জন্য শিক্ষা যাতে "বোঝা না হয়ে বরং সম্ভাবনার দরজা হয়ে ওঠে" সেটি নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এই অবস্থান বিদেশি শিক্ষার্থীদের আশাবাদী করে তুলছে; বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করা এখন হয়তো কিছুটা সহজ ও সহনশীল হয়ে উঠবে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স