Logo
×

Follow Us

অস্ট্রেলিয়া

ডুবে যাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র তুভালু; নাগরিকরা আশ্রয় নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ২২:০৩

ডুবে যাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র তুভালু; নাগরিকরা আশ্রয় নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু উদ্বাস্তু সমস্যা এখন আর ভবিষ্যতের দুর্যোগ নয়, বরং চলমান বাস্তবতা। এর জীবন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপদেশ তুভালু, যেখানে দেশটির এক-তৃতীয়াংশ নাগরিক ইতোমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার ‘জলবায়ু অভিবাসন ভিসা’-র জন্য আবেদন করেছেন। এই বিশেষ ভিসা Pacific Engagement Visa (Subclass 192) ২০২৫ সালের ১৬ জুন প্রথমবারের মতো চালু হয়। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ১,১২৪টি আবেদন জমা পড়েছে, যা পরিবারসহ প্রায় ৪,০৫২ জন নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করে। এই সংখ্যা তুভালুর মোট জনসংখ্যার (১০,৬৪৩) প্রায় ৩৮ শতাংশ।

ভিসাটি তুভালুর জন্য শুধু একটি অভিবাসন প্রকল্প নয়; এটি একটি জলবায়ুনির্ভর রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ টিকে থাকার বৈশ্বিক স্বীকৃতি। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তর এটিকে বর্ণনা করেছে “একটি যুগান্তকারী কূটনৈতিক উদ্যোগ” হিসেবে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই ও সম্মানজনক আশ্রয়ের পথ তৈরি করেছে।

তুভালু, যার অধিকাংশ ভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড়ে মাত্র ৫ মিটার উঁচু। একাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের অধিকাংশ ভূমিই উচ্চ জোয়ারের নিচে চলে যাবে। NASA এর এক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, দেশের জীবন-জীবিকা ও অবকাঠামোর বেশির ভাগই আগামী ২০ বছরের মধ্যে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের আগস্টে অস্ট্রেলিয়া ও তুভালুর মধ্যে স্বাক্ষরিত Falepili Union চুক্তির অংশ হিসেবে এই নতুন ভিসা চালু করা হয়েছে। চুক্তিতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ও সামরিক হুমকির সময় তুভালুকে সহায়তা করবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশটি যদি ভূখণ্ড হারিয়েও ফেলে, তবুও তার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বজায় থাকবে।

ভিসাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার পাবেন। এতে রয়েছে মেডিকেয়ার সুবিধা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের মতো ভর্তির সুযোগ, শিশু পরিচর্যা ভাতা ও বারবার যাতায়াতের পূর্ণ স্বাধীনতা।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

Logo