
২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের প্রবাহ নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন “Stats Guy” ডেমোগ্রাফার সাইমন কুয়েস্ট। The New Daily-তে প্রকাশিত এই বিশ্লেষণে তিনি দেখিয়েছেন, ২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী ও অস্থায়ী অভিবাসনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যা দেশটির জনসংখ্যা ও অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় নেট অভিবাসন প্রবাহ ছিল প্রায় ৩ লাখ, যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ১ লাখ কম। অভিবাসীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল ছাত্র ও অস্থায়ী কর্মী, যাদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ও সেবা খাতে চাপ তৈরি হয়েছে। স্থায়ী অভিবাসনের হারও কমেছে, বিশেষ করে দক্ষ কর্মী ও পরিবার পুনর্মিলন ক্যাটাগরিতে।
কেন কমেছে অভিবাসন?
বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ-
- কঠোর ভিসানীতি ও প্রক্রিয়ার জটিলতা
- আবাসন সংকট ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি
- রাজনৈতিকভাবে অভিবাসনবিরোধী মনোভাবের উত্থান
কী প্রভাব পড়ছে?
অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসনের ওপর নির্ভরশীল। অভিবাসীরা শুধু শ্রমবাজারে নয়, বরং ভোক্তা খরচ, আবাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
অভিবাসন হ্রাসের ফলে-
- শ্রম ঘাটতি বাড়ছে
- বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রাজস্ব কমছে
- আবাসন বাজারে চাপ কিছুটা কমলেও ভাড়া কমছে না
সাইমন কুয়েস্টের মতে, অভিবাসন প্রবাহে ভারসাম্য আনতে হলে সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও জনমত ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা দেখাতে হবে। অভিবাসনকে কেবল জনসংখ্যা বৃদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে না দেখে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করাই হবে সময়োপযোগী।
তথ্যসূত্র: দ্য নিউ ডেইলি