Logo
×

Follow Us

মধ্যপ্রাচ্য

দুবাই এয়ারপোর্টে কোন পণ্য শুল্কমুক্ত, কোনটি নয়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৭

দুবাই এয়ারপোর্টে কোন পণ্য শুল্কমুক্ত, কোনটি নয়

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক আন্তর্জাতিক যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। কিন্তু অনেক যাত্রীই জানেন না, বিমানবন্দরে প্রবেশ কিংবা প্রস্থানের সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থ ও মূল্যবান দ্রব্য বহনের ক্ষেত্রে রয়েছে কড়া নিয়ম। দুবাই কাস্টমসের সাম্প্রতিক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, একজন যাত্রীর সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ, গহনা বা মূল্যবান সামগ্রীর পরিমাণ ৬০ হাজার দিরহাম বা তার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়ালেই তা ঘোষণা করা বাধ্যতামূলক।

দুবাই বিমানবন্দরে কাস্টমস প্রক্রিয়া শুরু হয় পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ সম্পন্ন হওয়ার পর এবং শেষ হয় বিমানবন্দরের কাস্টমস গেট অতিক্রম করার মধ্য দিয়ে। এই পুরো সময়জুড়ে কর্তব্যরত কাস্টমস কর্মকর্তারা যে কোনো মালপত্র পরীক্ষা করতে পারেন, প্রয়োজনে শুল্ক আরোপ করতে পারেন এবং ঘোষণা না করা মূল্যবান সামগ্রী জব্দও করতে পারেন।

ঘোষণা দিতে হলে যাত্রীরা মৌখিকভাবে, লিখিতভাবে কিংবা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তা করতে পারেন। কেউ চাইলে ‘দুবাই কাস্টমস অ্যাপ’ ব্যবহার করেও ঘোষণা দিতে পারেন। এছাড়া বিমানবন্দরের ‘গ্রিন’ ও ‘রেড’ চ্যানেল ব্যবহারের মাধ্যমেও কাস্টমস কর্মকর্তাকে জানান দেওয়া যায়- আপনার কাছে ঘোষণা করার মতো কিছু আছে কিনা। সন্দেহ থাকলে ‘রেড চ্যানেল’ ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

দুবাই কাস্টমস জানায়, ব্যক্তি পর্যায়ের কিছু পণ্য শুল্কমুক্ত হিসেবে গ্রহণযোগ্য। এর মধ্যে রয়েছে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত জামাকাপড়, জুতা, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ কিংবা ক্যামেরা; যেগুলো যাত্রীর নিজস্ব ব্যবহারযোগ্য এবং অতিরিক্ত নয়। এছাড়া সর্বোচ্চ ৩ হাজার দিরহাম মূল্যের উপহারসামগ্রী শুল্কমুক্তভাবে বহন করা যাবে, যদি তা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে না হয়।

তামাকজাত পণ্য ও মদ্যপানযোগ্য দ্রব্যের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪০০টি সিগারেট, ৫০টি সিগার এবং ৫০০ গ্রাম তামাক নিয়ে আসতে পারবেন শুল্ক ছাড়াই। পাশাপাশি সর্বোচ্চ চার লিটার অ্যালকোহল বা দুই কার্টন (২৪ ক্যান/বোতল) বিয়ার বহন করা যাবে, তবে তা অবশ্যই ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য হতে হবে। এসব সুবিধা কেবল ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী যাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য।

একই সাথে দুবাই কাস্টমস সতর্ক করেছে, বিভিন্ন দেশ থেকে আগত যাত্রীদের অনেকেই প্রেসক্রিপশন ওষুধ বহন করেন, যেগুলোর মধ্যে কিছু UAE-তে নিষিদ্ধ। এ ধরনের ওষুধ সঙ্গে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের সনদপত্র দেখাতে হবে এবং প্রয়োজনে কাস্টমসকে জানাতে হবে।

নিষিদ্ধ পণ্যের মধ্যে রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ধর্মীয়ভাবে সংবেদনশীল বা আপত্তিকর বইপত্র, কিছু রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতি। এসব সামগ্রী দুবাই বা আমিরাতের যে কোনো বিমানবন্দরে বহন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দুবাই বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের জন্য এ নির্দেশনাগুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। যে কোনো অনিয়ম যাত্রাপথে বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে, এমনকি জরিমানা বা জেলও হতে পারে। তাই আগে থেকেই সচেতন থাকলে সফর হবে নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত।

তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ

Logo