প্রবল বন্যায় থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে ব্যাপক ক্ষতি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩১
এ বছর প্রবল বর্ষণ ও বন্যার কারণে এশিয়ার কয়েকটি দেশ ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। নভেম্বর থেকে দক্ষিণ থাইল্যান্ডে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে বহু বাড়িঘর ও বাণিজ্যিক স্থাপনা প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে রাবার চাষের এলাকাগুলোতে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনে বড় ধাক্কা লেগেছে। টায়ার ও অন্যান্য শিল্পপণ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। থাইল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, দুর্যোগে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ৫০০ বিলিয়ন বাত বা প্রায় ১৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইন্দোনেশিয়াতেও একই সময়ে প্রবল বর্ষণ দেখা দেয়। এতে বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ও সেতুসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি বিস্তীর্ণ কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। ইন্দোনেশীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার অব ইকোনমিক অ্যান্ড ল স্টাডিজের হিসাব অনুযায়ী, অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৬৮ ট্রিলিয়ন রুপিয়া বা ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
ভিয়েতনামও এ বছর বারবার টাইফুন ও ভারী বর্ষণের মুখোমুখি হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। সরকারের অনুমিত হিসাব অনুযায়ী, ক্ষতির পরিমাণ ৮৫ ট্রিলিয়ন দং বা ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এশিয়ার এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা ও ঘনত্ব বাড়ছে। ফলে কৃষি, শিল্প ও অবকাঠামো খাত বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে শুধু তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক ক্ষতিই নয়, দীর্ঘমেয়াদে উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থানের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সরকারগুলো জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ, কৃষি খাতে অভিযোজনমূলক পদক্ষেপ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানো জরুরি।
logo-1-1740906910.png)