মালয়েশিয়ার হারিয়ে যাওয়া বিমানের খোঁজে আবারো অভিযান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৫১
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ ফ্লাইট এমএইচ৩৭০-এর খোঁজ আবার শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরের শেষ দিকে। পরিবহনমন্ত্রী অ্যান্থনি লোক জানিয়েছেন, মৌসুম অনুকূল হওয়ায় এ সময় অনুসন্ধান কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হবে।
২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ জন যাত্রী বহনকারী বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়। এটি বিমান চলাচলের ইতিহাসে অন্যতম বড় রহস্য হয়ে আছে। যাত্রীদের দুই-তৃতীয়াংশ ছিলেন চীনা নাগরিক, বাকিদের মধ্যে ছিলেন মালয়েশিয়ান, ইন্দোনেশিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান, ভারতীয়, আমেরিকান, ডাচ ও ফরাসি নাগরিক।
বিমানটির খোঁজে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অনুসন্ধান চালানো হলেও এখনো তা পাওয়া যায়নি। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান বন্ধ করা হয়েছিল। তবে মন্ত্রী তখনই জানিয়েছিলেন, বছরের শেষ দিকে আবার শুরু হবে।
চীন ও নিহতদের পরিবার নতুন অনুসন্ধান ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, মালয়েশিয়ার প্রচেষ্টা তারা প্রশংসা করছেন। যাত্রী জিয়াং হুই, যার মা বিমানে ছিলেন, জানিয়েছেন তার পরিবার মালয়েশিয়া সরকার ও ওশান ইনফিনিটির নতুন উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে।
কুয়ালালামপুরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান শুরু হবে। ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওশান ইনফিনিটি এ কাজ করবে। তারা নির্দিষ্ট এলাকায় অনুসন্ধান চালাবে, যেখানে বিমানের ধ্বংসাবশেষ থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অনুসন্ধান হবে “নো ফাইন্ড, নো ফি” নীতিতে অর্থাৎ বিমান পাওয়া গেলে তবেই সরকার অর্থ প্রদান করবে।
২০১৮ সালে ওশান ইনফিনিটি একবার ব্যর্থ অনুসন্ধান চালিয়েছিল। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে তিন বছর ধরে ভারত মহাসাগরে ১ লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হয়, তবে কেবল কিছু ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
মন্ত্রী বলেছেন, এই উদ্যোগ পরিবারগুলোর জন্য সমাপ্তি ও উত্তর খুঁজে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বহন করছে। নিহতদের স্বজনরা আশা করছেন, এবার হয়তো কিছু উত্তর পাওয়া যাবে।
বিমানের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে নানা তত্ত্ব রয়েছে। ২০১৮ সালের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিমানটির পথ পরিবর্তন করা হয়েছিল হাতে। তবে কেন বিমানটি হারিয়ে গেল, তা জানা যায়নি। তদন্তকারীরা সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি যে কেউ পাইলট ছাড়া বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল।
চীনা যাত্রীদের পরিবার এখনো উত্তর দাবি করছে। গত মার্চে তারা বেইজিংয়ে মালয়েশিয়া দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন “আমাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে দাও!”
logo-1-1740906910.png)