ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহের জেরে শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এ দুর্যোগে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে দেশটির সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনা করছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। এরই মধ্যে ১০টি দেশের ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন।
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার ১৪ জন, ভারতের ১২ জন, বেলারুশের ছয়জন, ইরানের পাঁচজন, দক্ষিণ আফ্রিকার চারজন, পোল্যান্ডের তিনজন, বাংলাদেশের তিনজন, জার্মানির দুইজন, স্লোভেনিয়ার দুইজন, যুক্তরাজ্যের দুইজন, অস্ট্রেলিয়ার একজন এবং পাকিস্তানের একজন নাগরিক।
ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহের পর ২৮ নভেম্বর থেকে শ্রীলঙ্কায় জরুরি সহায়তার জন্য ভারত ‘অপারেশন সাগর বন্ধু’ শুরু করে। শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ভারত সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কলম্বোতে দুটি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে ৯ দশমিক ৫ টন জরুরি ত্রাণ সরবরাহ করে। এতে তাঁবু, ত্রিপল, কম্বল, স্বাস্থ্যকর খাবারের কিট, প্রস্তুত খাবার, ওষুধ ও অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী সময়ে আরো ৩১ দশমিক ৫ টন ত্রাণ পাঠানো হয়।
এছাড়া তিনটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমান, পাঁচজন চিকিৎসক এবং জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর ৮০ জনের একটি বিশেষ নগর অনুসন্ধান ও উদ্ধার দল পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ সুকন্যা অতিরিক্ত ১২ টন ত্রাণ সরবরাহ করেছে।
শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৩৫৫ জন নিহত এবং ৩৬৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। অনেক দুর্গম এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় সরকার।
ভারতের এই সহায়তা শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বহুজাতিক উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের আঞ্চলিক সহযোগিতা দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
logo-1-1740906910.png)