মালয়েশিয়ায় বৃহৎ পরিসরে পরিচালিত অভিবাসন অভিযানে ১০৫ জন বিদেশি এবং কয়েকজন মানব পাচারকারীকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পারসনস অ্যান্ড অ্যান্টি-স্মাগলিং অব মাইগ্রান্টস অ্যাক্ট (ATIPSOM) এর আওতায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ অভিযান চালানো হয়। এতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি পাচারকারীদেরও আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার নাগরিকদের সংখ্যা বেশি। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রবেশ, ভুয়া নথি ব্যবহার এবং মানব পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযানে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ, পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা যৌথভাবে অংশ নেয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হবে, যাতে অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক বলেছেন, মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশকারীরা শুধু আইন ভঙ্গ করছে না, বরং দেশের নিরাপত্তা ও শ্রমবাজারের জন্যও হুমকি তৈরি করছে। পাচারকারীরা অভিবাসীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করছে এবং তাদের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ফেলছে। তাই কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এ ধরনের অপরাধ দমন করা জরুরি।
আটককৃতদের মধ্যে অনেকেই বৈধ নথি ছাড়া কাজ করছিল। কেউ কেউ ভুয়া ভিসা ও পাসপোর্ট ব্যবহার করছিল। পাচারকারীরা তাদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসে, কিন্তু পরে তারা প্রতারণার শিকার হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ মামলা করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মালয়েশিয়ায় অভিবাসন সংকট দীর্ঘদিনের সমস্যা। শ্রমবাজারে বিদেশি কর্মীর চাহিদা থাকলেও অনেকেই অবৈধ পথে প্রবেশ করছে। ফলে পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। সরকার এ ধরনের অভিযান বাড়ালে অবৈধ অভিবাসন কমবে এবং শ্রমবাজারে স্বচ্ছতা আসবে।
logo-1-1740906910.png)