থাইল্যান্ড সরকার ভিসা এক্সেম্পশন এন্ট্রি এবং থাকার মেয়াদ বাড়ানোর নিয়মের অপব্যবহার রোধে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, অনেক বিদেশি পর্যটক ভিসা এক্সেম্পশন সুবিধা ব্যবহার করে দীর্ঘ সময় দেশটিতে অবস্থান করছেন। কেউ কেউ নিয়মিত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আবার প্রবেশ করছেন, আবার কেউ থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে অনিয়মিতভাবে বসবাস করছেন। এ কারণে কর্তৃপক্ষ এখন কঠোর নজরদারি শুরু করেছে।  

থাইল্যান্ডে ভিসা এক্সেম্পশন সুবিধা মূলত স্বল্প সময়ের পর্যটকদের জন্য দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই ৩০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারেন। তবে অনেকেই এ সুযোগকে দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের উপায় হিসেবে ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ পর্যটক ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও থেকে যাচ্ছেন, আবার কেউ সীমান্তে গিয়ে নতুন করে প্রবেশ করে অবস্থান বাড়াচ্ছেন।  

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের অপব্যবহার দেশের নিরাপত্তা ও অভিবাসন ব্যবস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক বিদেশি পর্যটক আসলে কাজ করছেন বা ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন, অথচ তাদের কাছে বৈধ কর্ম ভিসা নেই। এতে শ্রমবাজারে অনিয়ম তৈরি হচ্ছে এবং স্থানীয়দের জন্য প্রতিযোগিতা বাড়ছে।  

নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সীমান্তে প্রবেশ ও বের হওয়ার রেকর্ড কঠোরভাবে যাচাই করা হবে। যারা বারবার ভিসা এক্সেম্পশন ব্যবহার করছেন, তাদের প্রবেশ সীমিত করা হবে। এছাড়া থাকার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনগুলোও কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যটক ভিসা শুধু ভ্রমণ ও স্বল্প সময়ের অবস্থানের জন্য, দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের জন্য নয়।  

থাইল্যান্ডে পর্যটন খাত দেশের অর্থনীতির বড় অংশ হলেও সরকার মনে করছে, নিয়ম ভঙ্গ করে দীর্ঘ সময় থাকা পর্যটকদের কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই তারা এখন ভিসা নীতিতে শৃঙ্খলা আনতে চাইছে।

সব মিলিয়ে থাইল্যান্ড সরকার ভিসা এক্সেম্পশন ও থাকার মেয়াদ বাড়ানোর অপব্যবহার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। পর্যটকদের জন্য এটি সতর্কবার্তা দেশে প্রবেশের নিয়ম মেনে চলতে হবে, নইলে ভবিষ্যতে প্রবেশে বাধা আসতে পারে।