মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্য সামুদ্রিক পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করতে বিলাসবহুল ক্রুজ অভিজ্ঞতা চালু করেছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।  

সম্প্রতি ‘পেনাং প্রিন্সেস’ নামে একটি উচ্চমানের ক্রুজ প্রকল্প চালু হয়েছে। এটি রাজ্যের প্রথম বিলাসবহুল ক্রুজ শিপ রেস্টুরেন্ট, যেখানে যাত্রীরা সমুদ্র ভ্রমণের পাশাপাশি বিশ্বমানের খাবার ও বিনোদনের অভিজ্ঞতা পাবেন। পেনাং পোর্ট কমিশনের চেয়ারম্যান দাতুক ইয়োহ সুন হিন জানিয়েছেন, এ প্রকল্প রাজ্যের পর্যটন শিল্পে একটি বড় মাইলফলক। এর মাধ্যমে পেনাং দ্বীপ থেকে মালাক্কা প্রণালী পর্যন্ত পর্যটন কার্যক্রম বিস্তৃত হবে।  

ক্রুজটিতে থাকবে ফাইন ডাইনিং, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বিনোদন এবং সমুদ্র দর্শনের সুযোগ। প্রায় ৬১ মিটার দীর্ঘ এই জাহাজটি আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তৈরি করা হচ্ছে। ২০২৭ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে বলে জানা গেছে।  

পেনাংয়ের পর্যটন খাত দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যবাহী খাবার, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এবার বিলাসবহুল ক্রুজ অভিজ্ঞতা যুক্ত হওয়ায় রাজ্যের পর্যটন আরো বৈচিত্র্যময় হবে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ উদ্যোগ উচ্চ আয়ের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে এবং রাজ্যের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।  

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভিয়েতনামের ভিয়েত প্রিন্সেস ক্রুজার করপোরেশন এবং মালয়েশিয়ার শিপস ক্লাসিফিকেশন সংস্থা যৌথভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিলাসবহুল ক্রুজ অভিজ্ঞতা শুধু পর্যটন শিল্পকেই নয়, বরং স্থানীয় কর্মসংস্থান ও ব্যবসায়িক সুযোগও বাড়াবে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন এবং বিনোদন খাত এ থেকে লাভবান হবে। একই সঙ্গে পেনাং আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে আরো শক্ত অবস্থান তৈরি করবে।  

সব মিলিয়ে, পেনাংয়ের বিলাসবহুল ক্রুজ উদ্যোগ সামুদ্রিক পর্যটনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি শুধু পর্যটকদের জন্য নয়, বরং স্থানীয় অর্থনীতি ও সংস্কৃতির জন্যও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।