পোখারা শুধু হ্রদ, পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই নয়, বরং অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনের জন্যও বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্যারাগ্লাইডিং, হট এয়ার বেলুন, আল্ট্রালাইট ফ্লাইটের পাশাপাশি স্কাইডাইভিং এখানে পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
পোখারায় প্রথম স্কাইডাইভিং শুরু হয় ২০১০ সালে পরীক্ষামূলকভাবে। এরপর থেকে মৌসুমি ভিত্তিতে আশ্বিন-কার্তিক ও চৈত্র-বৈশাখ মাসে এটি পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ইনস্কাই স্কাইডাইভিং কোম্পানি সিমরিক এয়ারের সহযোগিতায় পোখারার পামে এলাকায় কার্যক্রম চালাচ্ছে।
কোম্পানির পরিচালক নির্মল পাণ্ডে বলেন, “প্রতি বছর মাত্র ১৫ দিনের অনুমতি দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন। দীর্ঘ ও জটিল অনুমতি প্রক্রিয়া বড় বাধা।” তিনি জানান, রেক্রিয়েশনাল এভিয়েশন অপারেশন সার্টিফিকেট (RAOC) দেওয়া হলে প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত বিনিয়োগ করতে পারবে, যা রাজস্ব ও কর্মসংস্থান বাড়াবে।
আগে বিদেশি প্রশিক্ষকরা স্কাইডাইভিং পরিচালনা করলেও এখন প্রশিক্ষিত নেপালি ইনস্ট্রাক্টররা দায়িত্ব নিচ্ছেন। এলিস থাপা, সুবাশ থাপা, মানিশ হিরাচান এবং নেপালের প্রথম নারী স্কাইডাইভার যশোদা কেসি থাপা বর্তমানে পোখারায় স্কাইডাইভিং পরিচালনা করছেন। তারা হেলিকপ্টার থেকে ৩ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় লাফ দিয়ে অবতরণ করান।
নেপালি পর্যটকদের জন্য ডিলাক্স প্যাকেজের মূল্য ৯৫ হাজার রুপি, ভিআইপি ১ লাখ ১৫ হাজার এবং ডায়মন্ড ১ লাখ ৫০ হাজার রুপি। বিদেশি পর্যটকদের জন্য যথাক্রমে ৭৫০, ৯০০ ও ১,২০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
নেপালের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (CAAN) জানিয়েছে, পোখারা ও এভারেস্ট অঞ্চলের স্যাংবোচে স্কাইডাইভিংয়ের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত। তারা নিরাপত্তা ও মানদণ্ড পূরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিগগিরই RAOC সার্টিফিকেট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
উদ্যোক্তাদের মতে, পোখারা নিয়মিত স্কাইডাইভিং চালু হলে আন্তর্জাতিক পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এটি শুধু স্থানীয় অর্থনীতি নয়, বরং নেপালের অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনকে বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
logo-1-1740906910.png)