মালয়েশিয়ার খবর ৮ নভেম্বর
মালয়েশিয়ার কঠিন শর্ত, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৩৭
মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে নতুন করে ১০টি কঠোর শর্ত দিয়েছে দেশটির সরকার। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার স্কয়ারফিটের ৩ বছরের স্থায়ী অফিস, পাঁচ বছরের অপারেটিং এক্সপেরিয়েন্স, সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নিজস্ব মালিকানাধীন ট্রেনিং সেন্টার, তিন বছরে তিন হাজার কর্মী পাঠানোর রেকর্ড। সেসব শর্ত পূরণ করে এমন এজেন্সি বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ রিক্রুটিং এজেন্সির নেই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এসব শর্তে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে জনশক্তি রপ্তানিকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে।
এমনকি নেপালের গণমাধ্যমের খবর বলছে, এসব শর্ত অগ্রহণযোগ্য। তারা এ জন্য মালয়েশিয়ায় কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে। এসব শর্তকে শ্রমবাজারের সমতা নষ্টকারী ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেছে তারা। মালয়েশিয়ায় সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে সবচেয়ে বেশি কর্মী কাজ করেন নেপালিরা। ফলে শর্তের বলি হবেন সাধারণ নেপালিরা।
এদিকে, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক নেতারা বলছেন, এই শর্তগুলোর কারণে দেশটিতে শ্রমিক পাঠানো কঠিন হয়ে পড়বে। তারা আশঙ্কা করছেন, এতে সিন্ডিকেট তৈরি হবে, ছোট এজেন্সিগুলো বাদ পড়বে।
ইতোমধ্যেই বায়রার সাবেক নেতারা উদ্বেগ জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ার কাছে তিনটি শর্ত শিথিল করার অনুরোধ জানিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, এজেন্সির সংখ্যা বাড়ানো, সময়সীমা বাড়ানো ও কাগজপত্র-নথি সহজ করা।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশ ও নেপাল অন্যতম প্রধান উৎস দেশ। এই শর্ত বাস্তবায়ন হলে লাখো শ্রমিকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়বে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হলে, দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমবাজারে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে।
logo-1-1740906910.png)