নেপাল সরকার মালয়েশিয়ার নতুন শ্রমমানকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ৪ নভেম্বর দেশটির শ্রম, কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়া সরকারকে একটি কূটনৈতিক চিঠি পাঠায়, যেখানে বলা হয় নতুন শর্তগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
মালয়েশিয়া সম্প্রতি পাঁচটি দেশ যেমন- নেপাল, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে কর্মী পাঠানোর জন্য ১০টি বাধ্যতামূলক শর্ত দিয়েছে। এসব শর্তের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি বাছাই করতে বলা হয়েছে, যার তালিকা ১৫ নভেম্বরের (নেপালি ক্যালেন্ডারে কার্তিক ২৯) মধ্যে পাঠানোর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নেপাল সরকারের মতে, এই শর্তগুলো শ্রমবাজারে সমতা ও অংশগ্রহণের সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করবে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জন্য এসব শর্ত পূরণ করা কঠিন হবে। ফলে বাজারে আবারো সিন্ডিকেট গঠনের আশঙ্কা তৈরি হবে।
নেপালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শ্রম অভিবাসন একটি মানবিক ও অর্থনৈতিক বিষয়, যেখানে অংশগ্রহণের সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত। মালয়েশিয়ার প্রস্তাবিত মানদণ্ডগুলো বাস্তবসম্মত নয় এবং তা শ্রমিকদের অধিকার ও সুযোগকে সীমিত করে।
মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শ্রম অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরো সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ করতে এই শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রতারণা, মানব পাচার ও শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা কমানো যায়। তবে নেপালসহ অন্যান্য দেশ এই শর্তগুলোকে একতরফা ও কঠোর বলে মনে করছে।
নেপালের শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিষয়টি এখন কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তারা মালয়েশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে একটি গ্রহণযোগ্য কাঠামো তৈরির আহ্বান জানিয়েছে, যাতে উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা হয়।
এই পরিস্থিতি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অংশগ্রহণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশও একই ধরনের আপত্তি জানিয়েছে এবং শর্ত শিথিলের অনুরোধ করেছে।
logo-1-1740906910.png)