Logo
×

Follow Us

এশিয়া

মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের কল্যাণে ইউনিসেফের উদ্যোগ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০০:৩৪

মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের কল্যাণে ইউনিসেফের উদ্যোগ

মালদ্বীপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষায় উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ইউনিসেফ যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। সম্প্রতি মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম এবং ইউনিসেফ প্রতিনিধি ড. এডওয়ার্ড অ্যাড্ডাই-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সৌজন্য বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

৪ নভেম্বর মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উভয়পক্ষ মালদ্বীপে অবস্থানরত শিশুদের, বিশেষ করে বাংলাদেশি শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সুরক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বিকাশে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

হাইকমিশনার ড. নাজমুল ইসলাম বলেন, “শিশুদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি শান্তি, কূটনীতি এবং টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি।" তিনি বহুপক্ষীয় সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং প্রবাসী শিশুদের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

ইউনিসেফ প্রতিনিধি ড. অ্যাড্ডাই মালদ্বীপের অর্থনীতিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করে বলেন, “ইউনিসেফ মালদ্বীপে অবস্থানরত সব শিশুর, বিশেষ করে বাংলাদেশি শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" তিনি ১৮ বছরের নিচে বাংলাদেশি শিশুদের যে কোনো সামাজিক সেবার প্রয়োজনে ইউনিসেফকে অবহিত করার জন্য হাইকমিশনকে অনুরোধ জানান।

বৈঠকে ড. অ্যাড্ডাই একটি ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব দেন, যেখানে ইউনিসেফ মালদ্বীপ, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, মালদ্বীপ সরকার এবং বাংলাদেশ সরকার একত্রে কাজ করবে। এই কাঠামো শিশুদের জন্য আরো শক্তিশালী সামাজিক সেবা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে বলে আশা করা হয়।

উভয়পক্ষ শিশুদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তি, আনন্দ এবং পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিশু উৎসব, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সৃজনশীল কার্যক্রম আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা করে।

ড. অ্যাড্ডাই শিশু ও শিক্ষাবিষয়ক ক্ষেত্রে হাইকমিশনারের নেতৃত্বের প্রশংসা করে আগামী ২৮ নভেম্বর মালদ্বীপে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব শিশু দিবসে তাকে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানান। হাইকমিশনার ইউনিসেফের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শিশুদের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

Logo