মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটে মদ পরিবেশন নিষিদ্ধ করেছে। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দেশটির পর্যটন খাতের নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ও পর্যটন প্রতিযোগিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এভিয়েশন এটুজেড তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরো জানায়, মালয়েশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্টস (MATTA) এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয়। সংগঠনটির সভাপতি নাইজেল ওয়াং বলেন, মালয়েশিয়ার বৈচিত্র্য ও উদার মনোভাবই বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। ফ্লাইটে মদ নিষিদ্ধ করা হলে সেই ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মালয়েশিয়ান ট্যুরিজম ফেডারেশনের সভাপতি শ্রী গনেশ মিচিয়েল বলেন, আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে হলে যাত্রীদের সাংস্কৃতিক চাহিদা বিবেচনায় নিতে হয়। মদ পরিবেশন নিষিদ্ধ করা মানে শুধু ধর্মীয় সংবেদনশীলতা নয়, বরং এটি যাত্রীসেবার মান কমিয়ে দিতে পারে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে কিছু রাজনৈতিক নেতার চাপ রয়েছে, যারা ইসলামী মূল্যবোধের কথা বলে ফ্লাইটে মদ পুরোপুরি বন্ধের দাবি তুলেছেন। তাদের মতে, মুসলিম ক্রুদের জন্য এটি অস্বস্তিকর হতে পারে।
তবে পর্যটন খাতের নেতারা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করতে পারে, যার ফলে আয় কমে যেতে পারে এবং যাত্রী সন্তুষ্টি হ্রাস পেতে পারে। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স যেন একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতি গ্রহণ করে। যেমন নির্দিষ্ট রুটে সীমিতভাবে মদ পরিবেশন বা ক্রুদের জন্য অপশনাল ব্যবস্থা রাখা।
বিশ্লেষকদের মতে, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স একটি জাতীয় প্রতীক, তাই তাদের উচিত স্থানীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি সম্মান রেখে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা। হঠাৎ করে এমন পরিবর্তন মালয়েশিয়ার আতিথেয়তা ও উদারতার বার্তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে।
পর্যটন নেতারা মনে করেন, বিষয়টি শুধু মদ পরিবেশন নয়, বরং এটি মালয়েশিয়ার বৈশ্বিক অবস্থান ও পর্যটন খাতের ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িত। তাই নীতিনির্ধারণে আরো সংবেদনশীলতা ও দূরদর্শিতা প্রয়োজন।
logo-1-1740906910.png)