জাপানের পর্যটন খাতে দক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি আগামী বছরগুলোতে বড় সংকটে পরিণত হতে পারে। দেশটির সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ কোটি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্য নিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এই লক্ষ্য পূরণে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও পর্যটনসেবায় অন্তত ৫ লাখ ৩৬ হাজার কর্মীর ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
কানসাইভিত্তিক এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট অব রিসার্চের এক জরিপে দেখা গেছে, জাপানে জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে ২০২৪ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে পর্যটনসেবায় কর্মীর সংখ্যা ১.৯ শতাংশ কমে যাবে। অন্যদিকে, পর্যটন চাহিদা বাড়বে প্রায় ১৫.৬ শতাংশ। এই ব্যবধান পূরণে খাতটির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে অন্তত ২.৮ শতাংশ হারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পর্যটন খাতে কর্মী সংকট শুধু সেবা মান কমাবে না, বরং বিদেশি পর্যটকদের অভিজ্ঞতাও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। বিশেষ করে হোটেল, গাইড, পরিবহন ও খাবার সরবরাহে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
জাপান ইতোমধ্যে পর্যটন খাতে প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান, যেমন রোবট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বয়ংক্রিয় সেবা চালু করেছে। তবে এসব প্রযুক্তি মানবিক সেবা ও আন্তরিক আতিথেয়তার বিকল্প নয় বলে মনে করছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদেশি কর্মী নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে সংকট মোকাবিলার চেষ্টা চলছে। তবে স্থানীয় জনগণের মধ্যে পর্যটন খাতে কাজ করার আগ্রহ কম থাকায় সমস্যা আরো জটিল হচ্ছে।
বিশ্ব পর্যটন সংস্থা WTTC-এর এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে জাপান হবে পর্যটন খাতে কর্মী সংকটে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি।
বিশ্লেষকদের মতে, জাপানের পর্যটন খাতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে শুধু প্রযুক্তি নয়, মানবসম্পদ উন্নয়নেও জোর দিতে হবে। না হলে ২০৩০ সালের পর্যটন লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ওয়ার্ল্ড
logo-1-1740906910.png)