দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাড়ছে প্রতারণা চক্রের কার্যক্রম
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪১
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতারণা চক্রের বিস্তার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে মিয়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ সাইবার প্রতারণা কেন্দ্র, যেগুলো থেকে পরিচালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্ক্যাম ও মানব পাচার। এসব চক্রের শিকার হচ্ছে চীন, ভারত, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডসহ বহু দেশের নাগরিক।
প্রতারণা চক্রগুলো মূলত চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণদের ফাঁদে ফেলে। পরে তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে জোরপূর্বক স্ক্যাম অপারেশনে যুক্ত করা হয়। অনেককে মারধর, নির্যাতন ও বন্দিত্বের মধ্যে রাখা হয়। চক্রগুলো ভুয়া বিনিয়োগ, প্রেমের সম্পর্ক, অনলাইন লেনদেন ও জুয়া সাইটের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে।
চীন, ভারত, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে হাজার হাজার নাগরিককে উদ্ধার করেছে। ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়াও উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে।
মিয়ানমার ও লাওসের কিছু অংশে আইনশৃঙ্খলা দুর্বল, যেখানে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের সহায়তায় চক্রগুলো নিরাপদে কাজ চালায়। সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ কম, ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধীরা সহজেই ঘাঁটি গড়ে তুলছে।
জাতিসংঘ, ইন্টারপোল ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এই পরিস্থিতিকে ‘আঞ্চলিক সংকট’ হিসেবে দেখছে। তারা বলছে, এটি শুধু সাইবার অপরাধ নয়, বরং মানব পাচার, শ্রম শোষণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চক্র মোকাবিলায় প্রয়োজন আঞ্চলিক সহযোগিতা, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার এবং প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি। পাশাপাশি প্রতারণার শিকারদের দ্রুত উদ্ধার ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
তথ্যসূত্র: দ্য ডিপ্লোম্যাট
logo-1-1740906910.png)