মালয়েশিয়ার এগিয়ে যাওয়ার মূল চাবিকাঠি ডিজিটাল রূপান্তর
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৯
মালয়েশিয়া সরকার মনে করছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল রূপান্তরই সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি। দেশটির যোগাযোগ ও ডিজিটাল মন্ত্রী ফাহমি ফাজিল বলেছেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তি শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য নয়, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রশাসনিক দক্ষতাও বাড়ায়।”
মালয়েশিয়া ইতোমধ্যে ৫জি নেটওয়ার্ক বিস্তারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে ৮০ শতাংশ ৫জি কাভারেজ নিশ্চিত করার লক্ষ্য রয়েছে। পাশাপাশি ক্লাউড কম্পিউটিং, সাইবার নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং বিগ ডেটা ব্যবহারে সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু প্রযুক্তি নয়, এটি একটি মানসিক পরিবর্তন। আমাদের লক্ষ্য সব শ্রেণির মানুষের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা।”
ডিজিটাল খাত মালয়েশিয়ার জিডিপিতে বড় অবদান রাখছে। ই-কমার্স, ফিনটেক, স্মার্ট উৎপাদন এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার মতো খাতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সরকার আশা করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাত থেকে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হবে।
তরুণদের কর্মসংস্থানে যুক্ত করতে ডিজিটাল শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলছে। দেশটি চায়, মালয়েশিয়াকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ডিজিটাল হাব হিসেবে গড়ে তুলতে। ইতোমধ্যে মাইক্রোসফট, গুগল, হুয়াওয়ে ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে।
২০২৬ সালের মধ্যে প্রশাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ব্যবসা খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে কার্যকর পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া একটি উদ্ভাবনভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাবে।
এই রূপান্তর মালয়েশিয়াকে শুধু প্রযুক্তিনির্ভর দেশ নয়, বরং একটি উদ্ভাবনী ও মানবকেন্দ্রিক সমাজে রূপান্তরিত করতে সহায়ক হবে।
তথ্যসূত্র: ভিয়েতনাম প্লাস
logo-1-1740906910.png)