ব্রুনাইয়ে মানব পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশিকে শাস্তি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০৬

ব্রুনাইয়ে মানব পাচারের অভিযোগে মো. খাইরুল বাশার নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে সাড়ে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ ২০ হাজার ব্রুনাই ডলার জরিমানা এবং ১২ বেত্রাঘাতের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ সেপ্টেম্বর আদালতের শুনানিতে খাইরুল বাশার নিজের অপরাধ স্বীকার করলে বিচারক মুহাম্মদ ফয়সাল বিন হাজী কেফলি এই রায় ঘোষণা করেন। আদালত জানায়, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত তিনি ছয়জন বাংলাদেশিকে ভালো চাকরির প্রলোভনে ব্রুনাইয়ে নিয়ে আসেন এবং তাদের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করেন। তার বিরুদ্ধে মানব পাচার ও চোরাচালান আইনে ছয়টি অভিযোগ আনা হয়।
বিচারক রায়ে বলেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর ধারাবাহিক শোষণের প্রক্রিয়া। আসামির মিথ্যা প্রতিশ্রুতির কারণে ভুক্তভোগীরা চরম দুর্দশার শিকার হয়েছেন, যা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের জবানবন্দিতে উঠে আসে, চাকরির আশায় তারা মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্রুনাইয়ে পৌঁছানোর পর তাদের কোনো নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হয়নি, অল্প বেতনে অনিশ্চিত শ্রমে বাধ্য করা হয়। এমনকি তাদের পাসপোর্ট জব্দ করে রাখা হয়েছিল এবং মাসিক অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া হতো।
আদালত এই ঘটনাকে মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং নিষ্ঠুর আচরণ হিসেবে অভিহিত করেছে। বিচারক বলেন, পাচারকারীরা ভুক্তভোগীদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে তাদের শোষণের হাতিয়ার বানিয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর হাজাহ রোযাইমাহ বিনতে হাজী আবদুল রহমান এবং হাজাহ সিটি মুয়িজজাহ বিনতে হাজী সাবলি। আসামির পক্ষে ছিলেন দায়ুদ ইসমাইল অ্যান্ড কোম্পানির আইনজীবী।
তথ্যসূত্র: সময় অনলাইন