জাপান বিদেশি কর্মীদের জন্য বাড়াচ্ছে প্রশিক্ষণসহ নানা সুবিধা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৪

জাপান সরকার ২০২৭ সাল থেকে নতুন একটি বিদেশি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ আরো নমনীয় ও বাস্তবসম্মত হবে। বর্তমান প্রযুক্তিগত ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থার পরিবর্তে এই নতুন কর্মসূচি চালু করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির শ্রম ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
জাপানে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রযুক্তিগত ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম চালু ছিল, যা মূলত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য তৈরি হলেও বাস্তবে অনেক সময় কম মজুরি ও সীমিত অধিকার নিয়ে কাজ করতে বাধ্য হতেন কর্মীরা। নতুন কর্মসূচির লক্ষ্য হলো- এই সীমাবদ্ধতা দূর করে বিদেশি কর্মীদের জন্য একটি মানবিক, স্বচ্ছ ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা।
নতুন ব্যবস্থায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিদেশি কর্মীরা নির্দিষ্ট সময় পর চাকরি পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন, যা আগে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিল। এতে করে কর্মীরা নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী ভালো কর্মস্থলে যেতে পারবেন এবং কাজের পরিবেশের উন্নয়ন ঘটবে।
জাপানের সরকার জানিয়েছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশটি বিদেশি কর্মীদের প্রতি আরো দায়িত্বশীল আচরণ করতে চায় এবং অভিবাসন ব্যবস্থাকে মানবিক ও টেকসই করতে চায়। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা, নির্মাণ, কৃষি ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট খাতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নতুন কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা তিন বছর পর চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন এবং একই খাতে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন। তবে খাত পরিবর্তনের সুযোগ সীমিত থাকবে, যাতে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য বজায় থাকে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগ জাপানের শ্রমবাজারে বিদেশি কর্মীদের প্রতি ইতিবাচক বার্তা দেবে এবং কর্মীদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্যও একটি সম্ভাবনাময় সুযোগ, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার দক্ষ কর্মীদের জন্য।
জাপান সরকার আশা করছে, এই নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে বিদেশি কর্মীরা জাপানে আরো নিরাপদ, সম্মানজনক ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মজীবন গড়ে তুলতে পারবেন। ২০২৭ সালের আগে কর্মসূচির বিস্তারিত নীতিমালা ও বাস্তবায়ন কাঠামো চূড়ান্ত করা হবে।
তথ্যসূত্র: জাপান টুডে