কম খরচে কর্মী নিতে মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতাদের অনুরোধ বোয়েসেলের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২১

বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও সাশ্রয়ী জনশক্তি নিয়োগে মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনশক্তি রপ্তানিকারক সংস্থা বোয়েসেল (বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড)। একই সঙ্গে শ্রমিক কল্যাণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর কুয়ালালামপুরে ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারার্সের (এফএমএম) সদর দপ্তরে বোয়েসেল ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এফএমএমের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট জ্যাকব লি, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান দাতো’ নাথান কে সূপ্পাইয়া, ডেপুটি সিইও হেমা থিরুচেলভাম, সিনিয়র কর্মকর্তা সফিনা আবদুল হালিমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।
সাইফুল ইসলাম মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতাদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি কর্মীদের ওপর আস্থা রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বোয়েসেল স্বচ্ছ, সাশ্রয়ী ও দায়িত্বশীল নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। নিয়োগকর্তা ও কর্মী উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় বোয়েসেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
বৈঠকে শ্রমিক কল্যাণ, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এবং মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের ভবিষ্যৎ চাহিদা নিয়ে আলোচনা হয়। এফএমএম সদস্যরা বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতা ও কর্মদক্ষতার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও তাদের নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে তারা কর্মীদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাড়তি প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোছাম্মাত শাহানারা মনিকা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জিয়া হাসান, উপসচিব হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, বোয়েসেলের অনুমোদিত এজেন্ট জস্বন্ত সিং, জেনারেল ম্যানেজার নূর আহমেদ এবং হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (বাণিজ্য) প্রণব কুমার ঘোষ।
২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর বোয়েসেল প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সঙ্গেও বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, স্বীকৃতি প্রদান এবং শ্রমিক চলাচল বিষয়ে গভীরতর সহযোগিতা গড়ে তোলার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
তথ্যসূত্র: বাসস