Logo
×

Follow Us

এশিয়া

পর্যটনের মৌসুমেই অস্থির নেপাল

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৮

পর্যটনের মৌসুমেই অস্থির নেপাল

নেপালে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার কারণে পর্যটনের মৌসুমেই দেশটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সাধারণত নেপাল ভ্রমণের সেরা সময়, কিন্তু এবার সেই মৌসুমে পর্যটকদের পদচারণা কমে গেছে। ভারত ও আশপাশের অঞ্চল থেকে বহু পর্যটক তাদের পূর্বনির্ধারিত নেপাল ভ্রমণের বুকিং বাতিল করছেন।

ট্যুর অপারেটরদের মতে, গত কয়েক দিনে শতাধিক বুকিং বাতিল হয়েছে। কাঠমান্ডু, পোখরা, লুম্বিনি, পাতান, ভক্তপুর; এই জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন বহু পর্যটক। এমনকি যারা হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভ্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তারাও এখন পিছিয়ে যাচ্ছেন।

বিক্ষোভের কারণে হোটেল, বিমানবন্দর, পর্যটন কেন্দ্র; সব জায়গায় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। হায়াত রিজেন্সি, বার্জা, দারবার স্কয়ারের মতো জায়গায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের খবর ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক বেড়েছে। কলকাতার এক পর্যটক জানান, “আমরা ১৮ জনের একটি দল নিয়ে ২৩ তারিখে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু এখন আর কেউ যেতে চাইছে না।”

ট্যুর অপারেটররা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগামী কয়েক সপ্তাহে আরো শতাধিক বুকিং বাতিল হতে পারে। বিশেষ করে দুর্গাপূজার ছুটিতে নেপাল ভ্রমণের পরিকল্পনা করা বহু পরিবার এখন বিকল্প গন্তব্য খুঁজছেন।

নেপালের পর্যটন খাত এই অস্থিরতায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। হোটেল, গাইড, পরিবহন; সব খাতে আয় কমে গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বলছেন, “বিদেশি পর্যটক না এলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, নেপালের রাজনৈতিক সংকট শুধু অভ্যন্তরীণ নয়, এটি আঞ্চলিক পর্যটন প্রবাহেও প্রভাব ফেলছে। ভারত-নেপাল সীমান্তেও সতর্কতা জারি রয়েছে, যা স্থলপথে যাতায়াতকে আরো কঠিন করে তুলেছে।

এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেপাল সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায়, পর্যটনের মৌসুমেই দেশটির অর্থনীতি ও ভাবমূর্তি বড় ধরনের ধাক্কা খেতে পারে।

তথ্যসূত্র: এই সময়

Logo