Logo
×

Follow Us

এশিয়া

থাইল্যান্ডে শ্রমিক সংকট: বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চায়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫

থাইল্যান্ডে শ্রমিক সংকট: বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চায়

কম্বোডিয়ার বিপুলসংখ্যক শ্রমিক থাইল্যান্ড ছেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এই শূন্যতা পূরণে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে থাই সরকার। প্রথম ধাপে শ্রীলঙ্কা থেকে ১০ হাজার শ্রমিক আনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন থেকেও শ্রমিক নেওয়ার কথা বলা হয়েছে থাইল্যান্ডের কেবিনেট বৈঠকে।

থাইল্যান্ডের কৃষি, নির্মাণ ও মৎস্যশিল্পে বিদেশি শ্রমিকের ওপর দীর্ঘদিন ধরে নির্ভরতা রয়েছে। মূলত মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও লাওস থেকে আসা শ্রমিকরাই এই খাতের ভিত্তি। কিন্তু গত জুলাইয়ে থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষের পর প্রায় ৪ লাখ কম্বোডিয়ান শ্রমিক নিজ দেশে ফিরে যান। ফলে দেশটির শিল্প খাতে বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়।

থাইল্যান্ডের শ্রমমন্ত্রী পংকাভিন জুয়াংরুয়াংকিত জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কা থেকে ১০ হাজার শ্রমিক পাঠানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ হাজারের বেশি শ্রীলঙ্কান থাইল্যান্ডে কাজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশি শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কোরিয়ায় কাজ করছেন। তুলনামূলকভাবে থাইল্যান্ডে মজুরি ও কর্মপরিবেশ কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও বর্তমান সংকট নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে। তবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দক্ষতা, ভাষাজ্ঞান ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।

থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির বেকারত্বের হার মাত্র ০.৮১ শতাংশ, যা স্থানীয় শ্রমিকের অভাবকে নির্দেশ করে। গবেষক আনুসর্ন তামাজাই বলেন, বার্ধক্যজনিত সমাজে প্রবেশের ফলে শ্রমঘাটতি আরো প্রকট হচ্ছে।

অভিবাসন বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ সরকারের দ্রুত কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন। বিমান ভ্রমণের খরচ, নিয়োগ প্রক্রিয়া ও খাতভিত্তিক চাহিদা স্পষ্ট না হওয়ায় এটি এখনো একটি সম্ভাবনার জানালা, যার বাস্তবায়ন নির্ভর করছে সরকারি উদ্যোগের ওপর।

তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

Logo