Logo
×

Follow Us

এশিয়া

মালয়েশিয়ায় টিকটক নিষিদ্ধ হবে?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৬

মালয়েশিয়ায় টিকটক নিষিদ্ধ হবে?

মালয়েশিয়ায় টিকটক ব্যবহারে শিশুদের অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী ফাহমি ফাজিল সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে টিকটক নিজস্ব গাইডলাইন লঙ্ঘন করছে, যা মালয়েশিয়ার শিশু সুরক্ষা আইনের পরিপন্থি।

সরকার বারবার সতর্ক করলেও টিকটক এখনো কার্যকর কোনো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেয়নি। মন্ত্রী ফাহমি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, TikTok-কে মালয়েশিয়া পুলিশ (PDRM) ও মালয়েশিয়ান কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া কমিশনের (MCMC) সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, “১৩ বছরের নিচের শিশুদের উপস্থিতি টিকটকের নিজস্ব নীতিমালার বিরুদ্ধেও যায়। প্ল্যাটফর্মটি আরো আগ্রাসীভাবে ব্যবস্থা না নিলে আইনি পদক্ষেপ বিবেচনায় থাকবে।” যদিও এখনই টিকটক নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নেই, তবে ভবিষ্যতে তা সম্ভব- এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এই পরিস্থিতি মালয়েশিয়ায় একটি বড় প্রশ্ন তুলেছে: স্থানীয় মিডিয়া ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো যেখানে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মুখে থাকে, সেখানে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি জায়ান্টদের প্রতি এতটা নমনীয়তা কেন?

স্থানীয় প্ল্যাটফর্মগুলো তুলনামূলক ছোট ভুলেও জরিমানা, সাসপেনশন বা লাইসেন্স বাতিলের মুখে পড়ে। অথচ TikTok-এর মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে দীর্ঘ আলোচনায় যেতে হয়, যা আইনি জটিলতা ও কূটনৈতিক চাপের কারণে বিলম্বিত হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে Digital Services Act (DSA) চালু করে TikTok-সহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে বয়স যাচাই, কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রও TikTok-এর ডেটা নিরাপত্তা ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে তদন্ত করছে।

মালয়েশিয়ার সামনে এখন দ্বৈত চ্যালেঞ্জ- একদিকে শিশুদের সুরক্ষা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং ইইউর মতো শক্তিশালী আইন ও স্পষ্ট শাস্তির বিধানই হতে পারে মধ্যপন্থা।

তথ্যসূত্র: বিজনেস টুডে, মালয়েশিয়া

Logo