
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় প্রায় ১ লাখ বাড়ি বিক্রি হয়নি, যা দেশটির আবাসন খাতে বড় ধরনের সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সরকারি সংস্থা NAPIC-এর তথ্য অনুযায়ী, এসব অবিক্রীত বাড়ির বেশির ভাগই নির্মাণ শেষ হওয়া, নির্মাণাধীন বা অনুমোদিত অবস্থায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির দাম সাধারণ মানুষের আয় অনুযায়ী নয়। মালয়েশিয়ায় গড় মাসিক আয় যেখানে ৬.৩৩৮ রিংগিত, সেখানে সাড়ে তিন লাখ রিংগিত মূল্যের একটি বাড়ি কিনতে হলে মাসে ৯ হাজার ৯৭২ রিংগিত আয় দরকার। ফলে “সাশ্রয়ী” দামের বাড়িগুলোও অনেকের নাগালের বাইরে।
ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ার অধ্যাপক ড. মোহদ জায়রুল মোহদ নূর বলেন, “মানুষ বাড়ি কিনতে পারছে না। কারণ তাদের আয় বাড়ছে না, অথচ জীবনযাত্রার খরচ বেড়েই চলেছে”। তিনি আরো বলেন, শহর থেকে দূরে থাকা সাশ্রয়ী আবাসন প্রকল্পগুলোতে যাতায়াত ব্যয় বেশি, যা বাড়ির মোট খরচ বাড়িয়ে দেয়।
উচ্চমূল্যের অ্যাপার্টমেন্ট ও কন্ডো বিক্রিতেও স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে। কারণ এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বেশি এবং আয়তন তুলনামূলকভাবে ছোট।
এই সংকট কাটাতে ড. জায়রুল “Build-and-Sell” মডেল চালুর পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে নির্মাণ শেষ হওয়ার পরই বিক্রি শুরু হয়। পাশাপাশি কর্মস্থলের কাছাকাছি সাশ্রয়ী আবাসন প্রকল্প, উন্নত গণপরিবহন এবং সহজ অর্থায়ন ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতি শুধু আবাসন খাত নয়, পুরো অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এখনই প্রয়োজন আয় ও আবাসনের মধ্যে ভারসাম্য আনার বাস্তবমুখী উদ্যোগ।
তথ্যসূত্র: নিউ স্ট্রেইট টাইমস