
২০২৫ সালের প্রথমার্ধে মালয়েশিয়া থেকে ২৮ হাজার ৫২৫ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই তথ্য জানানো হয়েছে ১ জানুয়ারি থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে।
ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি; ২১ হাজার ৩৯ জন (৭৪%)। এরপর রয়েছে ৬ হাজার ১৪৫ জন নারী (২১%), ৭৭৮ জন ছেলে শিশু (৩%) এবং ৫৬৩ জন মেয়ে শিশু (২%)।
জাতিগতভাবে দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি; ১১ হাজার ৮৫ জন (৩৯%)। এরপর রয়েছে মিয়ানমার থেকে ৪ হাজার ৮৮৫ জন (১৭%) এবং ফিলিপাইন থেকে ৪ হাজার ৪৬৫ জন (১৬%)।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর আওতায় এই অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে মালয়েশিয়া জাতিসংঘের ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনের সদস্য না হলেও ‘নন-রিফাউলমেন্ট’ নীতিকে সম্মান করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (UNHCR) কার্ডধারীদের সাধারণত ফেরত পাঠানো হয় না, শুধু তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে তা করা হয়।”
এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার প্রয়াস। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো মালয়েশিয়ার এই নীতির প্রতি নজর রাখছে, যাতে ‘নন-রিফাউলমেন্ট’ নীতির লঙ্ঘন না ঘটে।
এই বিষয়ে পার্লামেন্টে প্রশ্ন তুলেছিলেন বুকিত বেন্ডেরা আসনের সংসদ সদস্য সায়ারলিনা আবদুল রশিদ। তার প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রণালয় এই তথ্য প্রকাশ করে।
তথ্যসূত্র: দ্য স্টার, মালয়েশিয়া