
সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের জীবনমান ও কর্মপরিবেশ নিয়ে সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে আশাব্যঞ্জক চিত্র। ২০২৫ সালে শ্রমিকদের সন্তুষ্টির হার ৭৪ শতাংশ, যা ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ। এই ফলাফল দেশটির অভিবাসী শ্রমনীতি, আবাসন ব্যবস্থা এবং সামাজিক সংহতির উন্নয়নের ইঙ্গিত দেয়।
জরিপটি পরিচালনা করেছে মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার সেন্টার (MWC), যেখানে ২ হাজার অভিবাসী শ্রমিক অংশ নিয়েছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নির্মাণ, ম্যানুফ্যাকচারিং, শিপইয়ার্ড এবং পরিচ্ছন্নতা খাতের কর্মীরা ছিলেন। ২০২১ সালে সন্তুষ্টির হার ছিল ৬২%, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৭০% এবং এবার তা আরো উন্নীত হয়েছে।
শ্রমিকদের মতে, আবাসন ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। নতুন ডরমিটরি নীতিমালা অনুযায়ী, আবাসন এখন আরো নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় সহায়ক। স্বাস্থ্যসেবা অ্যাক্সেস, বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা, আগের তুলনায় সহজতর হয়েছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে এসব খাতে সরকার ও এনজিওদের যৌথ উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়েছে।
এখনো রয়ে গেছে তবে সন্তুষ্টির হার বাড়লেও কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান। যেমন- কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা, ভাষাগত বাধা, এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা। বিশেষ করে নতুন আগত শ্রমিকদের জন্য স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এখনো কঠিন। MWC জানিয়েছে, তারা এসব সমস্যা সমাধানে প্রশিক্ষণ, ভাষা কোর্স এবং কমিউনিটি বিল্ডিং কার্যক্রম চালু করেছে।
সিঙ্গাপুর সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে আরো নীতিগত সংস্কার আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমরা চাই সিঙ্গাপুরে কাজ করা প্রত্যেক শ্রমিক যেন সম্মান, নিরাপত্তা এবং ন্যায্য সুযোগ পায়”। ভবিষ্যতে শ্রমিকদের জন্য ডিজিটাল অ্যাক্সেস, অভিযোগ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং সামাজিক সংহতির ওপর আরো জোর দেওয়া হবে।
তথ্যসূত্র: স্টাফিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যানালাইসিস